মুন্সিগঞ্জ, ৩০ জানুয়ারি, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত এমন সন্দেহে এক কলেজছাত্রকে র্যাব আটক করেছে বলে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছে, যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করছে না।
রায়হান (১৮) নামের আটক এই তরুণ মুন্সিগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মুন্সিগঞ্জ শহরের মাঠপাড়ার পিকলুস প্লাজায় থাকতেন তিনি।
তার কাছ থেকে কিছু বই এবং সাদা পাউডার জব্দ করা হয় বলেও প্রত্যক্ষদর্শী আশপাশের লোকজন দাবি করেছে।
রায়হানের পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সরকারি হরগঙ্গা কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী করিম বলেন, “সকাল ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠে ছোট ভাইদের ও কেয়ারটেকারের কাছ থেকে শুনি র্যাবের চারটি গাড়ি এসেছে। তাদের সাথে হ্যান্ডকাফ পরানো আরও দুই ছেলে ছিল। আমরা পাশের ফ্ল্যাটে ছিলাম। র্যাব চলে গেলে আমরা বের হয়ে শুনি রায়হানকে ধরে নিয়ে গেছে।”
পিকলুস প্লাজার কেয়ারটেকারের স্ত্রী নাসিমা বেগম নিজেও ওই ভবনের দেখাশোনা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র পাঁচদিন আগে ছেলেটি এই ফ্ল্যাটে উঠেছিল। বোরহান নামে আরেক ছাত্র তাকে নিয়ে আসেন। রায়হানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে। তার সম্পর্কে আর কিছু জানেন না।
“আজ সকালে কালো পোশাকধারী র্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তার কাছ থেকে কিছু বই ও দুই প্যাকেট সাদা রঙের পাউডার জব্দ করে।”
তবে পুলিশ কিংবা র্যাব বিষয়টি নিশ্চিত করছে না।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান বলেন, “র্যাব রায়হানকে ধরে নিয়ে গেছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে র্যাবের কোন কোম্পানি ধরেছে আমরা জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মুন্সিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, “শুনেছি যে র্যাব নিয়ে গেছে; কিন্তু কোন রায়হান, কোথায় বাড়ি তা খোঁজখবর করছি। এখনও তার ঠিকনা জানি না।”
মুন্সিগঞ্জ র্যাব-১১ সিপিসি-১ এর কমান্ডার পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। কে বা কারা আটক করেছে জানা নেই।”
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাকে র্যাবের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদি র্যাবের কোনো কোম্পানি এ অভিযান করে থাকে তাহলে কোম্পানি কমান্ডার এ বিষয়ে বলতে পারবেন।”