মুন্সিগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল, ২০২২, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে কাউন্সিলর পুত্রকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগের তীর স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা ঝিল্লুর রহমান ওরফে ঝিল্লু ও মিরকাদিম পৌর মেয়র আব্দুস সালাম পুত্র আল রাশেদ মানিক এর দিকে।
এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালাম।
তিনি ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘আমার ছেলে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। আর নির্দোষ ব্যক্তিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাসানোর চেষ্টা করা হলে সেটা আপনারা দেখবেন’।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টা’র দিকে মিরকাদিম লঞ্চঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় মিরকাদিম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন মিয়ার ছেলে সম্রাট ঝলক (২২) এর ৷ ঝলক মিরকাদিমের নৈদিঘিরপাথর এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বিবিএ’র দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
দুপুর ১টা’র দিকে সম্রাট কে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ এস এম ফেরদৌস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, মিরকাদিম লঞ্চঘাটের ইজারা সহ মালামাল উঠা-নামাকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর লিটন মিয়া, শ্রমিক লীগ নেতা ঝিল্লুর রহমান ও মেয়র পুত্র আল রাশেদ মানিক এর মধ্যে ত্রিমুখী বিরোধ চলছিলো। গত মিরকাদিম পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর লিটন মিয়া ও ঝিল্লুর রহমানের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিলো। নির্বাচনের পরপর আধিপত্য ও এলাকায় বিভিন্ন কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সম্প্রতি মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে আল রাশেদ মানিক ঘাট এলাকায় ট্রলার থেকে মালামাল উঠা-নামার দায়িত্ব পান৷ এ নিয়ে কাউন্সিলর লিটন মিয়া ও শ্রমিক লীগ নেতা ঝিল্লুর সাথে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব শুরু হয়৷ আজ দুপুরে কাউন্সিলর লিটন মিয়া ও শ্রমিক লীগ নেতা ঝিল্লুর রহমান লোকজন নিয়ে মিরকাদিম ঘাট এলাকায় অবস্থান নিলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়৷ এসময় ঝিল্লু পক্ষের ছুরিকাঘাতে কাউন্সিলরপুত্র ঝলকের মৃত্যু হয়।
কাউন্সিলর লিটন মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে আমার চোখের সামনে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। আমি খুনীদের বিচার চাই।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে৷ নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা বাদীর অভিযোগ পেলে মামলা হবে।