ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ শাখার এক মাঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মৌন মিছিল নিয়ে গিয়ে ব্যাংক ঘেরাও করেন গ্রাহকরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় গ্রাহকদের পক্ষে চারজনকে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিতে বলা হয়।
গ্রাহকদের পক্ষে নাজিম উদ্দিন মাদবর বলেন, জালিয়াতি করে ব্যাংকের ১১৭ জন গ্রাহকের নামে ৫০ হাজার থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেন ইসলামী ব্যাংকের মাঠ কর্মকর্তা (ফিল্ড অফিসার) শহিদুল ইসলাম টিটু। এই ঋণের টাকা গ্রাহকদের না দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
নাজিম উদ্দিন আরো বলেন, মাঠ কর্মকর্তা টিটু ঋণ করে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কয়েকটি ফরমে টিপসই নেন। টিটু মহাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। চেয়ারম্যানের অবর্তমানে তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নাম করেও তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
গ্রাহক নাজিম উদ্দিন আরো বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চিঠির মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন যে তাঁদের নামে ঋণ ইস্যু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সোলেমান বলেন, ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার শহিদুল ইসলাম টিটুর বিরুদ্ধে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার মামলা হয়েছে। এরই মধ্যেই মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলে গেছে। তারা তদন্ত করছে।