মুন্সিগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পূর্ব পরিচয়ের জেরে একসাথে তোলা কয়েকটি ছবি নিয়ে মানসিক নির্যাতনের পর এক কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার আসামি নয়ন মোল্লাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আজ রোববার বিকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সেখানে বলা হয়- গতকাল ১২ এপ্রিল টংগিবাড়ী থানায় ভুক্তভোগী কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় আসামি উপজেলার উত্তর পাইকপাড়া এলাকার মৃত সায়েন মোল্লার পুত্র নয়ন মোল্লাকে (২০) গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নয়ন জানায়- নির্যাতনের শিকার কিশোরীর সাথে তার পূর্ব পরিচয় সূত্রে তাদের একসাথে কিছু ছবি ছিলো। নয়ন সেই ছবি ভুক্তভোগীর প্রেমিকের কাছে পাঠালে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার প্রেমিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরবর্তীতে গত ২৮ মার্চ রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত নয়ন ভুক্তভোগী ও তার প্রেমিকের মধ্যকার বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগীকে স্থানীয় মো. জীবন শেখের (২০) বাড়িতে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মো. জীবন শেখের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পূর্ব হতেই অবস্থান নিয়ে থাকা নয়ন, জীবন (২০) এবং আপন বেপারী (১৯) ভুক্তভোগী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ধারণ করে রাখে। এসময় অভিযুক্ত আরমান (১৮) ও মিরাজ (১৯) বাইরে থেকে সহযোগিতা করে।
জোরপূর্বক ধর্ষণের ভিডিওটি স্থানীয়দের কাছে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নয়ন মোল্লা আজ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।