১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ১২:০৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ ২৩ মামলার জলদস্যু গ্রেপ্তার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২০ মার্চ, ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ ২৩ মামলার আসামি এক জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় পুলিশ ও জলস্যুতার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, ছুরি, ৩টি ককটেল, একটি ছুরি ও দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত তিনটি ট্রলার জব্দ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার পিয়াস সরকার (৩০) গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে। মেঘনা নদীতে বিভিন্ন জাহাজ ও মালবাহী ট্রলারে দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গবদ্ধভাবে ডাকাতি করে আসছিলেন তিনি।

সদর ও গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তার পিয়াস সরকার মেঘনা নদীর একজন শীর্ষ জলদস্যু। এছাড়াও তিনি মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির সঙ্গেও জড়িত। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গুয়াগাছিয়া এলাকায় পিয়াসের নেতৃত্বে জলদস্যুর একটি দল অস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করবে। আমার নেতৃত্বে বিকেলেই পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি চালায়। আমরাও পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ি। এক পর্যায়ে পিয়াসকে রেখেই তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। আমরা পিয়াসকে গ্রেপ্তার করি। পিয়াসের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২২ মামলা রয়েছে। ৫টি মামলার পরোয়ানা ভুক্ত আসামি তিনি।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই জলদস্যু এমন কোনো অপকর্ম নেই যা সে না করতো। তার ভয়ে পুরো গুয়াগাছিয়াসহ মেঘনা নদীতে যাতায়াতকারী জাহাজ, মানুষজন ভীত ছিল।

এদিকে পিয়াস সরকারের গ্রেপ্তারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়নের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পিয়াস শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল। তিনি এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করতেন না। কেউ কোনো কথা বললে হাত-পা ভেঙে দিতেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ২০২১ সালে গুয়াগাছিয়া এলাকার এক ব্যক্তির সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীকে দুদিনের জন্য তুলে নিয়ে গিয়েছিল পিয়াস। জীবনের ভয়ে এ নিয়ে ওই দম্পতি মামলা করারও সাহস পায়নি।

স্থানীয়রা পিয়াস ও তার বাহিনীর সবোর্চ্চ শাস্তির দাবি জানান।

error: দুঃখিত!