‘নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে ফুলের মতো ফুটব, বর্ণমালার গরব নিয়ে আকাশ জুড়ে উঠব’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার সারা দেশের মত মুন্সিগঞ্জেও শুরু হয়েছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস।
সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল ঘুড়ে দেখা যায় কোমলমতি শিশুরা তাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে নতুন বই সংগ্রহ করতে এসেছে।
এসময় দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কারও হাতে ছিল নতুন বই, কারও হাতে বেলুন, কারও হাতে জরির ফিতা। সদর উপজেলা’র নয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের—এমন কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, তাদের খুব ভালো লাগছে।
এদিকে ঢাকায় বই উৎসব উদ্বোধনের পর দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২০১০ সালে যখন বিনামূল্যে এই বই দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় তখন শিক্ষার্থী ছিল আড়াই কোটির মতো। আর এখন শিক্ষার্থী বেড়ে হয়েছে চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার। বইয়ের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২ কপি। তিনি বলেন, সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম আছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে গত সাত বছরে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে। বিশেষ করে সংখ্যাগত দিক থেকে সাফল্য যুগান্তকারী। এখন বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জন করতে হবে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
এরপর মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মাঝে গিয়ে বেলুন উড়িয়ে দেন। শিক্ষার্থীরাও উৎসাহ নিয়ে বই ওপরে তুলে ধরে। শতাধিক শিক্ষার্থী বই উঁচু করে নাড়াতে থাকে।
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কোটি বই বিতরণ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আশপাশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিয়েছে।