মুন্সিগঞ্জ, ৫ আগস্ট, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলের শামুক কুড়িয়ে বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয় হচ্ছে। বিলের এসব শামুক যাচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মাছের খামার ও চিড়িংর ঘেরে।
প্রায় ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা শামুক স্থানীয়ভাবে বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা করে। উপজেলার আলমপুর, লস্করপুর, শ্রীধরপুর ও বাড়ৈখালী এলাকায় প্রতিদিন কয়েক শত বস্তা শামুক বিক্রি হচ্ছে। শামুক বিক্রি করে এলাকার নিম্ম আয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ রোজ হাজার টাকা আয় করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট ছোট কোসা নৌকায় করে বিল থেকে শত শত শামুক কুড়িয়ে আনা হচ্ছে। একেকজন দিনের কয়েক ঘন্টায় ৩ থেকে ৪ বস্তা শামুক কুড়াতে পারেন। দেখা যায়, হাঁসাড়া এলাকার আলমপুর সড়কের পাশে শামুক কেনাবেচা হচ্ছে। সড়কের পাশে স্থানীয় পাইকাররা এসব শামুক সংগ্রহের পর বস্তাবন্দি করছেন।
ঐ স্থানে উপস্থিত শামুক ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, তার আন্ডারে ১০/১২ জন বিলে শামুক কুড়ান। প্রতিবস্তা শামুকের জন্য তাদেরকে দিতে হয় সাড়ে ৩শ’ টাকা। প্রতিবস্তা শামুকের জন্য পাইকার তাকে ৪০ টাকা করে কমিশন দিচ্ছেন।
গড়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ বস্তা শামুক কেনাবেচা করছেন তিনি। তার মত আরো অনেকেই আছেন বর্ষা মৌসুমে শামুক কেনাবেচা করছেন।
বাড়ৈখালী এলাকার পায়েল, হাসেম ও স্বপন জানান, এসব শামুক ট্রাকে করে খুলনা জেলার বিভিন্ন চিড়িংর ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। ঘের মালিকরা এ গুলো প্রক্রিয়াজাত করে চিড়িংর খাবার তৈরী করে থাকেন।
বর্ষা মৌসুমে এলাকায় তেমন কোন কাজ না থাকায় শামুকের বাণিজ্য করছেন তারা। অপরদিকে বিনা পুঁজিতে এলাকার অনেকই আছেন সংসারের বাড়তি আয় উপার্জনের জন্য আড়িয়ল বিল ও আশপাশের জলাশয়ে শামুক কুড়াচ্ছেন।