১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ১১:২৫
মাদ্রাসা ছাত্রীকে খুন করে আলামত ধ্বংস করেন ইউনুস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১২ জুন, ২০২২, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর মহাকালি এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার (১১) এর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ইউনুস প্রধান (৩৪) ঐ মাদ্রাসা ছাত্রীকে খুন করে আলামত ধ্বংস করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আটক হয়ে ইউনুস প্রধান কারাগারে থাকলেও অপর দুই আসামি মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক আটক ইউনুসের স্ত্রী সোনিয়া (৩০) ও সহকারি শিক্ষক হাবিবা আক্তার সুইটি (২৭) পলাতক রয়েছেন।

তাদের আটক ও প্রধান আসামির ফাঁসির দাবিতে আজ রোববার মুন্সিগঞ্জ শহরের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রধান সড়ক হয়ে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে মহাকালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় তারা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দীর্ঘ সময় অবস্থান নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী মরিয়মের মৃত্যুর সাথে জড়িতদের আটক ও ফাঁসির দাবি জানান।

মামলার বাদী ও নিহতের মা মায়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সোনিয়া তার স্বামীর রুমে পাঠায়। তার স্বামী ইউনুস আমার মেয়েকে একা রুমে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে লাগিয়ে দেয়। এসময় বাইরে মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থী অপেক্ষা করছিলেন। সে বাইরে থেকে সজোরে চিৎকারের শব্দ শুনতে পায়। এর কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার মহাকালি ইউনিয়ন সংলগ্ন মদিনাবাজার এলাকায় মদিনাতুল মোনাওয়ারা দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার উত্তর পাশে মমতাজ উদ্দিন মোল্লার ভাড়াটিয়া বাসায় কথা বলে মরিয়ম (১১) কে বাসায় নিয়ে যান মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ইউনুস প্রধান। পরে দুপুর ২ টার দিকে মাদ্রাসার পরিচালক মরিয়মের মৃত্যুর খবর দেয় পরিবারের কাছে। বিকেল ৩ টার দিকে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে নিহতের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসেন মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি জামাল উদ্দিন ও তার ছোট বোন জামাই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ইউনুস প্রধান (৩৪)। পরে নিহতের মা মায়া বেগম ঘটনার পরদিন শুক্রবার ৩ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ২ জনের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ময়মনসিংহ এলাকার ইউনুস প্রধান (৩৪) কে আটক করা হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আটক বাকি আসামিদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

error: দুঃখিত!