মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশবরেণ্য নেতা ইন্তেকাল করেন। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। —
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে মওলানা ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার
আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি আজীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন।
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চকণ্ঠ ছিলেন।
এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন দিনটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩১ সালে সন্তোষের কাগমারী, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওড়াখোলা ও ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন তিনি। পরে ১৯৩৭ সালে মওলানা ভাসানী কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। ২৫ মার্চ রাতে মওলানা ভাসানী সন্তোষে তার গৃহে অবস্থান করছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনী তার সন্তোষের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মওলানা ভাসানী একটি বিবৃতি দেন। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন। আসামে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
দিনটি উপলক্ষে বিএনপি দুই দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে দলটি। আগামীকাল বেলা ২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ-ভাসানীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।