গর্ভধারণের ব্যাপারটি অনেকাংশেই ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। আপনি কখন গর্ভবতী হবেন তা আগে থেকে নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। কিন্তু গর্ভধারণের ইচ্ছে থাকলে আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা ভালো। এ বিষয়ে জানতে প্রিয়.কম এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়-এর সাথে। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এমন কিছু অভ্যাসের কথা যেগুলো কম বয়স থেকেই গড়ে তোলা উচিত সকল নারীর, যদি তিনি ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ইচ্ছা রাখেন। আজকাল সন্তান না হওয়া বা সন্তান ধারণে জটিলতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনি নিজেকে রাখতে পারবেন শারীরিক রূপে সক্ষম। গর্ভধারণের ইচ্ছে থাকলে যে কোনো নারীই এসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
১) ভালো একজন গাইনী ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করুন
তিনি আপনাকে গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো জানতে সাহায্য করবেন। প্রিয়.কমকে ডক্টর লুৎফুন্নাহার নিবিড় জানান, আপনি কোন সময়ে গর্ভধারণ করতে ইচ্ছুক তার ওপর নিরভর করে আপনার গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে বা অন্য কোন উপায় গর্ভনিরোধ করা হলে সে ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া আপনার যদি এমন কোনো বংশগত রোগ থেকে থাকে জা আপনার সন্তানের মাঝে সঞ্চারিত হতে পারে, তবে তা পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করার জরুরী। কারো যদি ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, হাইপারটেনশন জাতীয় সমস্যা থেকে থাকে তবে গর্ভধারণ তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা খুবই জরুরী। এ ছাড়াও নিতে হবে টিটেনাসের টিকা।
২) গর্ভধারণে সহায়ক খাবার বেছে নিন
গর্ভধারণের পর নয় বরং গর্ভধারণের আগেই শরীর সুস্থ রাখা উচিত, খাওয়া উচিত উপকারি কিছু খাবার। ডিম এবং দুধের মতো খাবারগুলো যেমন খাওয়া উচিত যথেষ্ট প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের জন্য, তেমনি প্রয়োজন সীম এবং ডালজাতীয় খাবার খাওয়া। কারন এগুলো শরীরে এ সময়ে দরকারি ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের সরবরাহ নিশ্চিত করে।
৩) ফলিক এসিড গ্রহণ নিশ্চিত করুন
যে কোনো নারীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যই ফলিক এসিড প্রয়োজনীয় আর গর্ভধারণের জন্য তো অবশ্যই। গর্ভধারণের প্রথম দিকগুলোতে নারীরা জানতেও পারেন না তারা গর্ভবতী অথচ এ সময়েই ভ্রূণ এবং মায়ের জন্য ফলিক এসিড বেশি জরুরী। এ ছাড়া ফলিক এসিড হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।