মুন্সিগঞ্জ, ২২ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
নদীবেষ্টিত জেলা মুন্সিগঞ্জ। উত্তর-পশ্চিমে ধলেশ্বরী, দক্ষিণে পদ্মা ও পূর্বে মেঘনা নদী। চারপাশ থেকে নদীবেষ্টিত হওয়ায় দেশের ৮ টি জেলায় বন্যার খবরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এখানেও।
বিশেষ করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় মুন্সিগঞ্জের পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় গোমতি নদীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ওই এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক নিয়ে মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।’
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী বালুচর ইউনিয়ন ও লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী কনকসার ইউনিয়নের কয়েকটি নিচু ভূমির ঘরবাড়ি পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তবে সেখানে পানির বাড়তি স্রোত নেই। এর বাইরেও নদী তীরবর্তী অনেক স্থানে ঘরবাড়ি পানিবন্দি থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম আমার বিক্রমপুর কে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পদ্মার পানি বিপদসীমা থেকে ৭০ সেন্টিমিন্টার নিচে রয়েছে। মেঘনা নদীতে পানির গতিবিধি কিছুটা উদ্বেগজনক থাকলেও মুন্সিগঞ্জে পানি ঢোকার আশঙ্কা আপাতত নেই। তবে মেঘনা নদীতে চলাচলকারীদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অন্যদিকে পদ্মায় পানি বাড়লে ধলেশ্বরীতেও বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটর করছি। মুন্সিগঞ্জে বন্যা নিয়ে এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মত কোন আশঙ্কা নেই। এরপরও প্রতিমুহুর্তে আমরা আপডেট জানাবো এবং প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে জরুরী মিটিং ডাকবো।’