শিহাব আহমেদঃ ব্যাবসায় প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ঘড়ে বসে অর্থ উপার্জন করে নিজেদের স্বাবলম্বী করছেন মুন্সিগঞ্জের দুই জন নারী উদ্যোক্তা।
ঘড়ে বসে ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসার ক্ষেত্র বাড়াতে কাজ করছেন তারা। এতে করে তাদের সামজিক মর্যাদাও বাড়ছে বলে মনে করেন তারা। তাদের মতে লেখাপড়া শেষ করে উপার্জন করার একটা প্রবল ইচ্ছা নারী-পুরুষ উভয়েরই থাকে। আবার, নারী পুরুষের সমান অর্থনৈতিক অধিকারও আছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জের বাস্তব চিত্রটা হচ্ছে লেখাপড়া কোনরকমে শেষ করে বিয়ে করতেই হবে। মানসিক চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি এখানে উপেক্ষিতই থাকে।
এদের মধ্যে একজন নারী উদ্যোক্তা ফাহমিদা ইমরান যিনি অনলাইনে খাবার অর্ডার নিয়ে ডেলিভারী দিয়ে থাকেন তিনি জানান- ‘আমার ব্যবসা করার একটাই কারন ছিলো সেটা হচ্ছে নিজে কিছু করা। ফেইসবুকে গ্রুপ খুলে প্রথম দিনেই যখন ১০ টি অর্ডার পাই তখন প্রযুক্তির উপর আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।’
ফাহমিদা ইমরান জানান, ফেইসবুকে তার গ্রুপের নাম Fahmida’s oven
যেখানে তিনি ঘড়ে বানানো আলুর চপ, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, কলার চপ, অনথন, সমুচা, নুডলস, শামি কাবাব, বিফ কাচ্চি, মোরগ পোলাও, রোষ্ট, গাজরের পুডিং, ক্যারামেল পুডিং, কাষ্টার্ড, ঘিড়, মিষ্টি দই ইত্যাদির অর্ডার নিয়ে থাকেন। এবং অর্ডারগুলো নিশ্চিত করতে হয় একদিন আগে। এর পরে তার টিমের সদস্যরা নিদিষ্ট পয়েন্টে খাবার পৌছে দেন।
অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ড্রেস, চামড়ার ব্যাগ, কসমেটিক্স এর ব্যবসা করেন সানজিদা খান। কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার সাখে। তার ফেইসবুক পেজের নাম MunshiganjShoppers.com ২০১২ সাল থেকে ফেইসবুকের এই পেজের মাধ্যমে ব্যবসার ক্ষেত্র বাড়িয়েছেন এই নারী। ঘড়ে বসেই উন্নতমানের পণ্য পৌছে দিচ্ছেন নারীদের কাছে। অনলাইনে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুন্সিগঞ্জ শহরের মাঠপাড়ায় দিয়েছেন একটি শো রুম।
ব্যাবসায় প্রযুক্তি ব্যাবহার ও নারীদের অংশগ্রহন নিয়ে সমাজকর্মী তাইজুল ইসলাম শিহাব বলছিলেন, ‘মুন্সিগঞ্জে নারীরা আগের তুলনায় অনেক স্বাধীন। তাদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, ঝুকিও কমেছে। নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার বিষয়টি এখন পুরুষরাও মেনে নিচ্ছে।’
তিনি মনে করেন, মুন্সিগঞ্জের নারীরা পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পেলে আরও ভালো করবে। সামাজিক মর্যাদা বাড়লে তখন দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আসবে।