২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ৮:১৬
পুলিশের পরামর্শে আসামির বাড়িতে গিয়ে পুকুরে পাওয়া যায় স্কুলছাত্রের মরদেহ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

পুলিশের পরামর্শে আসামির বাড়িতে অনুসন্ধানে গিয়ে পুকুরে মিলেছে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রোমান শেখের (১৫) বস্তাবন্দি মরদেহ। সিমেন্টের খুঁটি ও ইটের সাথে বেঁধে পুকুরে কচুরির ভেতরে লুকানো ছিলো সেটি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ছয়গাঁও এলাকায় রোমান নিখোঁজের পর দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সিয়ামের পাটাতন বাড়ির নিচে পুকুর থেকে রোমানের মরদেহ উদ্ধার হয়।

স্বজনরা জানান, ‍পুলিশের পক্ষ থেকে আসামি সিয়ামের বাড়িতে গিয়ে অনুসন্ধানের পরামর্শ দেয়া হয়। সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান খান তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে আসামি সিয়ামের বাড়ির পাশে গিয়ে বিকট গন্ধ পান স্থানীয়রা। এসময় তারা পুকুরে বস্তাবন্দি লাশের অস্ত্বিত্ব নিশ্চিত হন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ধীরে ধীরে সেখানে শত শত নারী-পুুরুষ জড়ো হন। একপর্যায়ে সিয়ামের বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঘরটিতে সিয়ামের বাবা-মাসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য বসবাস করতেন।

প্রায় ৩ ঘন্টা পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ২২ দিন আগে নিখোঁজ শ্রীনগরের বেলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অটোচালক রোমান শেখের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান খান মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২১ জানুয়ারি স্কুল ছাত্র রোমান শেখ বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন নিহত রোমানের পিতা মিরাজ শেখ। পুলিশ এ ঘটনায় সিয়ামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় অটোরিকশাটি। তবে আসামিরা পুলিশকে রোমানের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি।

গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের সন্ধানের দাবিতে সিরাজদিখান থানায় হামলা করে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা।

নিহত রোমান শেখ (১৫) জেলার সিরাজদিখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদ (১৯) শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ এলাকায় রোমানের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নির্যাতন মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া জেলহাজতে থাকা আসামিদের পুনরায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

error: দুঃখিত!