মুন্সিগঞ্জ, ৩১ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
পদ্মা সেতু রেল প্রকল্প নিয়ে রেল এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘বলা হয়েছিলো বছরে ১৪০০ কোটি টাকা আয় হবে, এখন দেখা গেছে ৬ মাসে ৩৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে এটা তো শুভঙ্করের ফাঁকি। এই অংকগুলো আমাদের মিলাতে হবে।’
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকায় মাওয়া রেল স্টেশনে এ কথা বলেন তিনি।
অদূর ভবিষ্যতে এটি লোকসানি প্রকল্প হবে কি না আমার বিক্রমপুর সম্পাদক শিহাব আহমেদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন মোংলা পোর্ট থেকে কন্টেইনার আসলে রেভিনিউ বাড়বে। এখন প্রশ্ন হলো মোংলা পোর্টেরই তো সমস্যা। ওখানে জাহাজ আসতে পারছে না। জাহাজই যদি না আসে কন্টেইনার কোথা থেকে আসবে। এটা হয়ে গেছে, কেন হয়ে গেছে- মানুষের হতাশা তো এখান থেকেই। বলতেছেন উন্নয়ন হয়েছে- মানুষ বলতেছে কই আমরা তো কোন সুফল পাচ্ছি না। তাই আমরা সামনে এমনভাবে প্রকল্প গ্রহণ করবো এটা যাতে মানুষের সুফলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এগুলো ঋণের টাকা, সুদে আসলে পরিশোধ করতে হবে। এখন সুদে-আসলে পরিশোধ করলেন কিন্তু মানুষ যদি উপকার না পায় তাহলে হলো না।’
তিনি বলেন, ‘এই যে রেললাইন এটা মানুষের কতটা কাজে আসবে এবং এখানে যে ব্যায় হয়েছে সেটি কতদিনে উঠে আসবে এটা আমরা দেখবো।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি পেশায় অর্থনীতিবিদ, আমি অর্থনীতি পড়াই। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের এখানে যে উন্নয়ন ব্যায় হচ্ছে সেটার সঙ্গে মানুষের কতটা উপকার হচ্ছে সেটার সূত্র আমি খুব একটা দেখছি না। এবং এ কারনেই আজকে রাজপথে যে হতাশা কারণ হচ্ছে যে একদিকে বলা হচ্ছে আমাদের জিডিপি বাড়ছে, পার ক্যাপিটাল ইনকাম (মাথাপিছু আয়) বাড়ছে কিন্তু মানুষ তো সেটার সুফল পাচ্ছে না। এটার কারণটা হচ্ছে এই যে উন্নয়ন ব্যায় এবং এটার সঙ্গে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের যে বিষয়টা একত্র করা যাচ্ছে না। এখন হচ্ছে যে আমরা অতীতকে তো আর সংশোধন করতে পারি না। কিন্তু আমরা ভবিষ্যতে এটা দেখবো যে উন্নয়ন ব্যায় এবং মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন এটা শুধুমাত্র যেন একটা সংখ্যা না হয়।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রেল সচিব আবদুল বাকী, রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, সেতু সচিব মনজুর হোসেন, মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখ।