১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | সকাল ১১:৩৪
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ ফেরি সার্ভিস চালু হচ্ছে রোববার
খবরটি শেয়ার করুন:

গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে আগামী রোববার।

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর থেকেই ৭ কিলোমিটার পথ ৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করে আসছে মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া নৌ রুটের যাত্রীরা। উত্তাল মেঘনা নদীর তীব্র ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই নৌ রুটে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে যাতায়াত করে আসছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চারটি কাটার সাকশন অ্যাম্ম্ফিবিয়ান ড্রেজার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চারটি মাল্টিপারপাস ইনল্যান্ড কনটেইনারবাহী জাহাজ ও দুটি মিনি ইউটিলিটি ফেরিরও উদ্বোধন করবেন।

মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস চালু হলে এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার বিকল্প সংযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ রুটের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার এবং ফেরি পারাপারে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।

এরই মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়া ফেরিঘাটে দুটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক নির্মিত ‘স্বর্ণচাপা’ মিনি ইউটিলিটি টাইপ ফেরি দিয়ে মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া রুটে এ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ রুটে যানবাহন সংখ্যা বাড়লে ফেরির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই এই স্বল্প দূরত্বের নৌ রুট পারাপারের জন্য কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। এ ছাড়া গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের সরাসরি ফেরি সার্ভিসের জন্য সংসদে এবং প্রধাণমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। দীর্ঘ দিনের এই দাবি এখন পূরণ হবার পথে। এ ছাড়া গজারিয়ার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক থেকে গজারিয়া ঘাট এবং মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে নির্মাণাধীন চর কিশোরগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে এবং নির্বিঘ্ন চলাচল করতে আলোকসজ্জা করা হবে। দুই জেলার মাঝে সরাসরি ফেরি সার্ভিসের কারণে বাড়বে দুই উপজেলার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক।

গজারিয়ায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বাস্তবায়নাধীন শিল্প পার্ক, গার্মেন্টস এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিষয়গুলো বিবেচনায় এ ফেরি সার্ভিস চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হবে গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ নৌ-ফেরি সার্ভিস রুট।

অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিএর ১০টি ড্রেজার সংগ্রহ প্রকল্পের সাশ্রয়কৃত অর্থ থেকে ২৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি (প্রতিটি আট ইঞ্চি) কাটার সাকশন অ্যাম্ম্ফিবিয়ান ড্রেজার নির্মাণ করা হয়েছে। এ ধরনের ড্রেজার সাধারণত ছোট নদী ও খাল খননের জন্য ব্যবহূত হয়। যেখানে নাব্য সংকটের কারণে বড় ড্রেজার ব্যবহার করা যায় না সেখানেও এ ধরনের ড্রেজার ব্যবহার করা হয়। নৌবাহনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বায়েক কুন ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেডের শিপইয়ার্ডে এগুলো নির্মিত হয়েছে।

error: দুঃখিত!