ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২০, (আমার বিক্রমপুর)
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা ও রাস্ট্রপ্রতির সন্তান হয়েও শেখ রাসেল সহপাঠী ও অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধূলা করে বেড়াত। ৩২ নম্বরসহ ধানমন্ডির রাস্তায় বন্ধুদের সাথে সাইকেল চালিয়ে বেড়াত ও ক্রিকেট খেলত। ছোট বেলায় সকলের মন জয় করেছিল সে। আর এই নিষ্পাপ শিশুকে ১৫ আগস্ট খুনিরা ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। বিশ্বের অনেক দেশে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। কিন্তু কোথাও ঘাতকেরা এ রকম নিষ্পাপ শিশু, গর্ভবতী মা ও নারীদের হত্যা করেনি। যারা এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল সেই পরাজিত ঘাতকেরা এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছিল।
‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও ৭৫ এর খুনিদের সাহায্যে ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান এ দেশে নারী ও শিশুদের মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী বীজ বপন করেছিলো।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনকারী এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবার প্রতি আমার এ আহবান একটা শিশু ও যেন নির্যাতনের শিকার না হয়।
তিনি এসময় আরো বলেন, সরকার শিশুদের জন্য উন্নত জীবন ও নিরাপদ পরিবেশ সৃস্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হবে শিশুদের নিরাপদ আবাসস্থল।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ রবিবার ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শিশুদের ছড়া আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্মসচিব মো মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম বলেন, ‘শেখ রাসেল আমাদের শিুশুদের ভালবাসতে শেখায়। আমাদের সবার দায়িত্ব শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা’।
আজকের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ ১০ টি জেলা থেকে ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী আবৃত্তি, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এর পূর্বে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।