৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৯:৩২
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন মুন্সিগঞ্জের রনি
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ৩২নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের রনি চৌধুরী।

মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রনি চৌধুরী সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নাছির উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কতিপয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে নির্মুক্ত পদধারীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি প্রদান পূর্বক পদ সমূহ শূন্য ঘোষণা করা হলো।

অব্যাহতি পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ১৮জন সহ সভাপতি, ধর্ম সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, দুজন উপ দপ্তর সম্পাদক, দুজন উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক, তিনজন সহ সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, দুজন উপ স্বাস্থ্য সম্পাদক, উপ প্রচার সম্পাদক ও উপ পাঠাগার সম্পাদক।

এর আগে চলতি বছরের ১৯মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হলে পদবঞ্চিত নেতারা কমিটিতে পদপাপ্ত ৯৯জনকে “বিতর্কিত” আখ্যা দিয়ে তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপাপ্ত সভাপতি আসিফ হালদার হত্যা মামলার আসামী উল্লেখ্য করে রনি চৌধুরীর নাম উঠে আসে ।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও রনি চৌধুরীকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই বছরের ১২ এপ্রিল প্রতিপক্ষের মারধরে গুরুতর জখম হয় আসিফ হালদার, পরে গুরুতর আহত আসিফকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে আরেকটি অভিযোগে ১নং আসামী দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে সিরাজদিখান থানার ততৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হোসেন।

পরবর্তীতে ১৭ই এপ্রিল ভোরে কারাগার থেকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় আসিফ।

এ ঘটনায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে সিরাজদিখান থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন নিহত আসিফের বাবা হাবিবুর রহমান। অভিযোগে ১২নং আসামী করা হয় রনি চৌধুরীকে।

error: দুঃখিত!