মুন্সিগঞ্জ, ২৪ মার্চ, ২০২০, মোজাম্মেল হোসেন সজল (আমার বিক্রমপুর)
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-পথে ফেরি, লঞ্চ, সি-বোটসহ সবধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে। সেখানে মহামারি করোনা ছড়ানোর আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ফেরিঘাট এলাকায় কোন মেডিকেল টিমও নেই।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র কোন কর্মকর্তাও ফেরিঘাট এলাকায় নেই। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. হেলালউদ্দিন জানান, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে ফেরি, লঞ্চ, সিবোটসহ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সবধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কিছু যানবাহন পারাপার করলেও পরে তা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও দূর পাল্লার যানবাহনসহ ঢাকার গুলিস্তান ও যাতাবাড়ী থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন চলাচল বন্ধ না থাকায় সেখানে যানবাহনের চাপসহ যাত্রীচাপ বেড়ে গেছে। শিমুলিয়া ঘাটে হাজার হাজার যাত্রী দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
শিমুলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল কবীর জানান, শিমুলিয়া প্রান্তে অন্তত ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী পারাপারের অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেউ কেউ ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নির্টা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তারা শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।