গজারিয়া উপজেলা নির্বাচন; কি আছে তোতার কপালে?
উপজেলা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা তত বেড়েই চলেছে। তবে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেদিকেই আগ্রহ বেশি সাধারণ মানুষের।
গজারিয়া থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের আলোচনায় জমিয়ে রেখেছেন এমন দুজনের মধ্যে একজন বর্তমান চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা এবং আরেকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন আনতে এদের দুজনের মধ্যে প্রতীদ্বন্দিতাই বেশি। এনিয়ে দেশের শীর্ষ জাতীয় দুটি পত্রিকায় দুইরকমের প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আলোচনাটা আরও বেড়ে যায়।
আমিরুল ইসলাম সমর্থকরা মনে করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তোতা উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে একক আধিপত্য বিস্তার করে বিপুল পরিমান অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই তোতাকে ঠেকানো দরকার। আর তোতার সমর্থকদের মতে জাসদ ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা আমিরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার মত যোগ্যতা বহন করেন না।
এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছেই। দুপক্ষই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এর মূল কারন শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের পদটিই নয়। কথিত আছে গজারিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে নির্বাচনে যদি ৫ কোটি টাকা খরচ হয় তাহলে ১ বৎসরেই ৫০ কোটি টাকা কামানো সম্ভব।
এর উদাহরন হিসেবে কেউ কেউ বলছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতার গত ৫ বৎসরে অর্থনৈতিক উথ্যানের কথা।
তবে শেষ পর্যন্ত তোতার কপালে কি আছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তোতার সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন যদি না ও পান তবে গত নির্বাচনের মতই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন তোতা। তবে সেটা করে এবারও কি জয়ী হয়ে আসতে পারবেন কি না তা নিয়েই অনিশ্চিয়তায় ভুগছে তোতার সমর্থকরা।


