গজারিয়া উপজেলাধীন ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামে প্রবেশের প্রধান সোয়া কিলোমিটার রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ জনগন।
রাস্তাটির দক্ষিণাংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উত্তর অংশে মেঘনা নদীর শাখা নদী অবস্থিত।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে নদীর তীরবর্তী গ্রাম লুটেরচর, শেখের গাওঁ, কান্দারগাওঁসহ নয়াকান্দি গ্রামগুলোর মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠে।
রাস্তাটি বিভিন্ন অংশে গর্ত উঁচুনিচু, বালু আবার কোথাও রাস্তাসহ পাশের খাদে ধ্বসে গেছে।
সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউ’পি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সকলেই নয়াকান্দি গ্রামবাসীর ভোটের আসায় বারবার সংস্কার রাস্তার নির্মাণের আশ্বাস দিলেও অদ্যবদি কেউই কথা রাখেনি।
প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, রোগীসহ শত শত মানুষ আসা যাওয়া করে।
নয়াকান্দি গ্রামের রাজু আহম্মেদ (বাবু) জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি মৃণাল কান্তি দাস এ গ্রামে এসেছিলেন। সেই সময়ে তিনি এ রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিন এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয় নিশ্চিতের জন্য বলেন।
এমপি মহোদয়ের আশ্বাসে বিশ্বাস রেখেই আমরা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দেই।পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও অদৃশ্য কারণে তা থেমে যায়।
সংস্কারের নামে রাস্তা থেকে মাটি খুরে রাস্তার দু-পাশে আইল বাধায় এখন সামান্যতম বৃষ্টি হলে হাটু পানি জমে।
নয়াকান্দি গ্রামের লিয়াকত দেওয়ান জানান প্রতিটি নির্বাচন এলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা ও তাদের পক্ষের লোকজন নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থী উক্ত রাস্তাটি সংস্কার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ভোট নিয়ে যায়। মাত্র সোয়া কিলোমিটার রাস্তাটি পুর্ন সংস্কার আশ্বাস দিয়ে গেলেও জয়ী হওয়ার পর ওই আশ্বাস আর বাস্তবে রূপ নেয় না।
ঠিকাদার ব্যবসায়ী খোকন নেকী জানান, এতদিন কাজটি আমি করছি, উপজেলা চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই আজিম এখন কাজটি করবে। দু-তিন দিনের মধ্য আবার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।