শিহাব আহমেদ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র ৭০তম জন্মদিন ছিলো গতকাল । একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও রাষ্ট্রঘোষিত জাতীয় শোক দিবসও ছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে বিএনপি বরাবরই প্রথম সারি’র রাজনৈতিক প্রতিপ্রক্ষ মনে করায় কখনোই জাতীয় শোক দিবসের কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে না বিএনপি বা এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
১৫আগষ্ট খালেদা জিয়া’র জন্মদিন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিপ্রক্ষের শাহাদাৎবার্ষিকী’র দিনেই তাদের নেত্রী’র জন্মদিন হওয়ায় ১৯৪৫সালে খালেদা জিয়া’র জন্ম হলেও মূলত ১৯৯৩সাল থেকে চালু হয় ১৫আগষ্টে খালেদা জিয়া’র জন্মদিন পালনের রেওয়াজ। এরপর বিএনপি সংসদে বিরোধীদল হলে ১৯৯৬সাল থেকে পুরোদমে আড়ম্বরভাবে তার জন্মদিন পালন করেন নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকেই শুরু। এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
তবে মুন্সীগঞ্জে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বিগত বছরগুলোতে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি অথবা ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবকদল কেউ না কেউ কেক কেটে উদযাপন করেছে খালেদা জিয়া’র জন্মদিন। কিন্তু এবার সরকারদলীয় রাজনৈতিক কৌশলের কাছে অপদস্ত-কোনঠাসা বিএনপি পালন করার সাহস পায়নি তাদের দলীয় সভানেত্রী’র জন্মদিন। মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলা’য় খোজ নিয়ে জানা গেছে এই চিত্র।
এব্যাপারে বাংলাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি খালিদ হাসান পলাশ জানান, মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেটে বিএনপি কার্যালয়ে তারা জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কেক কাটার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু একই স্থানে (বিএনপি কার্যালয়ের সামনে) আওয়ামীলীগের দুইগ্রুপের গণভোজের আয়োজন চলায় পুলিশ বিশৃঙ্ঘলার অযুহাতে তাদের পার্টি অফিসে ঢুকতে নিষেধ করায় তারা আর কেক কাটতে পারেননি।
জন্মদিন পালনের ব্যাপারে জানতে জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হাই এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমরা প্রতিবছর নেত্রী’র জন্মদিন উদযাপন করলেও এবছর বিভিন্ন ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাস্ত হযে পড়ায় উদযাপন করা হয়নি। তাছাড়া নেতা-কর্মীরাও একটু ছন্নছাড়া অবস্থায় থাকায় তাদের সংগঠিত করার চেষ্টা করিনি।’
জন্মদিন পালনের ব্যাপারে জানতে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রিপন মল্লিক এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। দু:খিত!’
একই প্রসঙ্গে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম (জসিম), জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সরকারী হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়ার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক (মৌখিক) মাসুদ রানা, জেলা যুবদলের সভাপতি তারিক কাশেম খান মুকুল-এর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।