২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ১০:৩৬
ক্লিনিক মালিকের সাথে ডাক্তারের দ্বন্দ, ডেকে নিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগ
খবরটি শেয়ার করুন:

শিহাব আহমেদঃ মুন্সিগঞ্জে এক ক্লিনিক মালিকের সাথে ডাক্তারের দ্বন্দে বায়োফার্মা নামক একটি ঔষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভ কে ঐ ক্লিনিক মালিক আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আবু সাঈদ মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডিও করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ কামরুল হাসান এর সাথে রেনেসা ক্লিনিকের মালিক আক্কাস আলীর সাথে দ্বন্দে সকল ঘটনার সূত্রপাত।

জিডি সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ শহরের রেনেসা ক্লিনিকের মালিক আক্কাস আলী ফোন করে ডেকে নিয়ে আবু সাঈদকে ডাঃ কামরুল হাসান এর সাথে সখ্যতার জন্য শাসান। একপর্যায়ে আক্কাস তার সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে হত্যার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সাঈদ ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘জিডির বিষয়টি সত্য। তিনি (আক্কাস আলী) অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।’

প্রদর্শিত অস্ত্রটি বৈধ কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেনেসা ক্লিনিকের মালিক আক্কাস আলী ‘আমার বিক্রমপুর’ এর কাছে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তার বক্তব্যে আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধতার বিষয়টিও অস্পষ্ট।

তবে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ এর আইনের ২৫ ধারায় (আগ্নেয়াস্ত্র বহন/ব্যবহার) তার প্রদর্শিত অস্ত্রটি বৈধ হয়ে থাকলেও তার প্রদর্শনের উদ্দেশ্য সঠিক না থাকায় সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ এর আইনের ২৫ ধারা (আগ্নেয়াস্ত্র বহন/ব্যবহার)

এদিকে ক্লিনিক মালিক আক্কাস আলীর সাথে দ্বন্দের বিষয়ে চিকিৎসক কামরুল হাসান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘আক্কাস আলী একজন ব্যবসায়ী আর আমি একজন চিকিৎসক। আমাদের দুজনের পেশায় ভিন্নতা রয়েছে। আমাদের মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে। তবে দ্বন্দ থাকাটা অস্বাভাবিক।’

চিকিৎসক কামরুল হাসান ‘আমার বিক্রমপুর’ এর কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে রেনেসা ক্লিনিকের মালিক আক্কাসের সাথে আমার প্রথম কথা কাটাকাটি হয়। প্রতিদিনের মত ঐদিন স্থানীয় পাশাপাশি আরেকটি ক্লিনিকে রোগী দেখা শেষ করে তার ক্লিনিকে রোগী দেখতে গেলে তিনি দেরি করে যাওয়ার জন্য রোগীদের সামনেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি মাত্র ১৫ মিনিট দেরি করে সেখানে পৌছেছিলাম। তিনি (আক্কাস আলী) ঐদিনই আমাকে বলেন আমি না চাইলে আপনি মুন্সিগঞ্জে থাকতে পারবেন না। ঐদিনের পর আমি তার (আক্কাস আলীর) রেনেসা ক্লিনিকে রোগী দেখা বন্ধ করে দেই। এরপর তিনি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে বদলীর জন্য বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে লিখিত আকারে অভিযোগ দেন বলে আমি জানতে পারি। সর্বশেষ বায়োফার্মা ঔষুধ কোম্পানির যে রিপ্রেজেন্টিভ কে তিনি তার (আক্কাস আলীর) ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে আমার সাথে চলাফেরা করার কারনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে শুনেছি ঐদিনও তিনি ঐ ছেলেটিকে জিম্মি করে আমাকে ফোন করিয়ে শাসিয়েছেন।’

error: দুঃখিত!