দায়িত্ব পালনকালে যাতে কোনো লোক হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘জনগণের কল্যাণে আপনাদের (পুলিশ সদস্য) আরও নিবেদিত হতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে
বার্ষিক পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণই সব ক্ষমতার উৎস’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, জনগণের দেওয়া করের টাকায় দেশ ও সরকার পরিচালিত হয়। সুতরাং সব ক্ষেত্রে জনগণের কল্যাণের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে, যাতে তারা পুলিশকে তাদের আস্থায় নিতে পারে এবং সাহায্যের প্রত্যাশায় এগিয়ে আসে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, সমাজে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব প্রয়োজন। তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এখন কোনো একটি অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এখন এটি বৈশ্বিক সমস্যা। প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধ মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশি ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের কর্মকৌশল ও সাফল্য ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং আমি আশা করছি, দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সব ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে আগামী দিনগুলোতে পুলিশ সদস্যরা আরও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।