২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ২:৫৯
কুমিল্লা থেকে নিরাপদে মাদক ঢুকছে মুন্সিগঞ্জে
খবরটি শেয়ার করুন:

সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা হয়ে অনেকটা নিরবে নিভৃতে মাদক ঢুকছে মুন্সিগঞ্জে। আর তা মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে মেঘনা নদী পার হলেই গজারিয়া উপজেলা। এর পরেই কুমিল্লা জেলা। মাদক কারবারিরা কুমিল্লা থেকে নদী পথ ব্যবহার করে মাদক ঢুকাচ্ছে মুন্সিগঞ্জ সদরে।

এই কাজটি করছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন ক্ষমতাসীন দলের একটি শীর্ষ সংগঠনের একজন প্রথমসারির নেতা।

সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরেই এই চক্রটি মুন্সিগঞ্জ শহরে বসে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অনেকটা নিরাপদে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাদের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’।

সিন্ডিকেটের একটি অংশ কুমিল্লা থেকে মাদক মুন্সিগঞ্জে আনার কাজটি করে থাকে। আর এই কাজে ব্যবহুত হয় একটি বিশেষ রঙের গাড়ি। যারা মাদকগুলো মুন্সিগঞ্জে এনে ছড়িয়ে দেয় তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ২৪-২৮ এর মধ্যে। এরা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। তবে তাদের ব্যবহার করছে সিন্ডিকেটের মূল হোতা।

খোজ নিয়ে আরও জানা যায়, কুমিল্লা বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে ফেনসিডিল অনেকটা সহজলভ্য। খুচরা বাজারে যে ফেনসিডিল বর্তমানে ১৬০০-১৮০০ টাকা বিক্রি হয় সেটা কুমিল্লায় পাওয়া যায় ৭০০-৮০০ টাকায়। অর্থাৎ কুমিল্লা থেকে ফেনসিডিল এনে বিক্রি করতে পারলে প্রতি বোতল বিক্রির টাকার অর্ধেকই লাভ। তাই কুমিল্লা-মুন্সিগঞ্জ রুটটি ফেনসিডিল ব্যবসার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এ বিষয়ে ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পুলিশের কঠোর নজরদাড়ি রয়েছে। এরপরেও কিছু মাদক কারবারি তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’ তাছাড়া এভাবে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মাদক সরবরাহ করা আরও বড় অপরাধ’

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘মাদক কে আমরা সমাজের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিন্হিত করে নির্মূলের কাজ করছি। আমাদের কাজে ঘাটতি নেই। যখনই আমাদের কাছে তথ্য আসছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সামনেও নিবো। তাছাড়া নদী পথে মাদক আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে’

error: দুঃখিত!