২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ১০:৪৫
করোনা: মুন্সিগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২০ মার্চ, ২০২০, জাফর মিয়া (আমার বিক্রমপুর)

সংকট দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাল, ডাল, ভোজ্য তেল,আদা, রসুন, পেয়াজ, চিনি, হলুদ, মরিচসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম অধিক বৃদ্ধি করা হয়েছে।

করোনার প্রভাবে পন্যের দাম আরো বাড়তে পারে এমন গুজবে চালের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়  লক্ষা করা গেছে।

তবে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। তবুও কমছে না নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম এবং ঠেকানো যাচ্ছেনা ক্রেতাদের। 

মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,করোনা ভাইরাস এর আতঙ্ককে পুঁজি করে এক শ্রেনীর অসাধু দোকানী চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ক্রেতারা হুমরি খেয়ে পড়েছে বাজার গুলোতে।

কেউ কেউ ৩ থেকে ৫ বস্তা করে ক্রয় করছে চাল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে মুনাফা খোররা।

এদিকে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পেয়ে মুন্সিগঞ্জের প্রধান কাঁচা বাজারের নিজাম স্টোর নামের একটি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা একটি মনিটরিং টিম। পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চালের দোকানটি এমনটাই জানিয়েছেন পৌরসভার স্যানেটারি অফিসার লিনা শাহা।

বাজার ঘুরে ও ক্রেতাদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কের পূর্বে মিনিকেট চাল ৫০ কেজির প্রতি বস্তর দাম ছিলো ২৪শত টাকা যা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭ শত ৫০ টাকা করে,বাসমতি চাল ২৯ শত পরির্বতে ৩২ শ টাকা,নাজির শাহ ২৩ শত পরিবর্তে ২৬শত টাকা। ২৮ চাল ১৮শত টাকার পরিবর্তে  বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ও মোটা চাল ১৬ শত টাকার  পরিবর্তে ১৯ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অপরদিকে ভৌজ্য তেল ৫ লিটার ৪ শত ৮০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৫শত ২০ টাকা করে। ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা করে।   

সামসুন নাহার নামের এক ক্রেতা জানান, করোনা ভাইরাসের ভয় দেখিয়ে বাজারের কিছু অসাধু দোকানী চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে চাল ডাল,তেল বেশি করে ক্রয় করে মজুতে রাখছি।

পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লব বলেন, পৌর এলাকার সকল বাজার মনিটরিং এর জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। তারা পৌর এলাকার ছোট বড় সব বাজার ঘুরে মনিটরিং করছে। কোন অসাধু দোকানী নিত্য প্রয়োজনীও দ্রব্যের দাম বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, দেশে প্রচুর পন্য মজুদ আছে। করোনাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা যদি নিত্য পন্যের দাম বেশী রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা প্রতিটা বাজার মনিটরিং করেছি এবং ব্যবসায়ীদের সকল নিত্য পন্যের দাম বেশী না রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি ক্রেতাদেরকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তারা যেন বেশী পন্য কিনে কৃতিম সংকট সৃষ্টি না করে।

error: দুঃখিত!