২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | বিকাল ৪:১২
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রভাব পড়েনি মুন্সিগঞ্জে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৮ জুলাই ২০২৪, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রভাব পড়েনি মুন্সিগঞ্জে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জের কোথাও দাড়াতে পারেনি আন্দোলনকারীরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পদ্মা সেতু ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাবের উপস্থিতির পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টহলে রয়েছেন।

সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ‘কমপ্লিট শাডডাউন’ কর্মসূচির প্রভাব নেই কোথাও। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতই শহরের সকল দোকানপাট খোলা রয়েছে। স্বাভাবিক রয়েছে যানচলাচলও।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে আমার বিক্রমপুরের প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকে উপজেলার কোথাও বিক্ষোভ বা কোন ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে, পদ্মা সেতু উত্তর প্রান্তের মাওয়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। মহাসড়কে টহলে রয়েছে বিজিবি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা যাতে বিশৃঙ্খলা না করতে পারেন সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে সেখানে।

এর আগে গেল ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার ও আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারি এলাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরদিন অর্থাৎ গতকাল ১৭ জুলাই মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় সকাল সাড়ে দশটার দিকে কোটা সংস্কার ও সারাদেশে হতাহতের বিচারের দাবিতে ব্যানার নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ১১ টার দিকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা নামাজে দাড়ায় ২০-৩০ জন নেতাকর্মী। নামাজ শুরু হতেই পুলিশ সেখান থেকে শহর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাহবুবুল আলম স্বপন ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হিরণকে আটক করে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মত করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। পাশের একটি বিপণিবিতানের সামনে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসাইন সাগরের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী জড়ো হন। প্রায় আধা ঘন্টা সেখানে অবস্থানের পর তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়া শুরু করলে পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত স্ট্যাম্প, কাঠের ডাসা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকেন। একইসময় পুলিশও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করে৷

প্রসঙ্গত, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

error: দুঃখিত!