দীর্ঘ ৫ বৎসর অনলাইন প্রকাশনায় থাকা মুন্সিগঞ্জের সর্বাধিক পঠিত অনলাইন পত্রিকা ‘আমার বিক্রমপুর’ এর প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জনপ্রিয় রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল।
এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের জন্ম ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ মুন্সিগঞ্জ শহরের শ্রীপল্লি এলাকায়। পিতা এফ এস শামসুল হক, মা চেমন আরা বেগম। তিনি ১৯৭৯ সালে মুন্সিগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।
ঢাকার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচ এস সি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি জনাব মোহাম্মদ আতাহার এর জৈষ্ঠ কন্যা বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য, পেশায় শিক্ষিকা মোরশেদা বেগম লিপির সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। সংসারজীবনে তিনি দুই কন্যাসন্তান এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।
১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে এদেশে যখন সাম্প্রদায়িকতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছিলো ঠিক তখনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতিগত মুক্তির প্রধান দিশারী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীণ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পথচলা শুরু করেন। এরপরে ১৯৭৮ সালে দশম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় অবস্থান তৈরি করেন তিনি। ১৯৮০ সালে প্রথম রাজনৈতিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এই মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৯৮১ সালে আবারও মামলা হয়। এরপর একের পর এক সাজানো-মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন।
১৯৮৩ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বগ্রহন করেন। মুন্সিগঞ্জ জেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে যখন সর্বাত্মক কাজ শুরু করেন তখনি বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশে এক এক করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় কারাবরণ অবস্থায় তার মায়ের মৃত্যু হয়। সে সময় ৩ ঘন্টার জন্য পেরোলে হাতকড়া পড়া অবস্থায় তার মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে হয়। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনের প্রতি তার আদর্শিক শক্তিশালী অবস্থানের কারনে ১৯৮৫ সালে তাকে দ্বিতীয় দফায় মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক অবস্থান ও সক্রিয় ভূমিকার কারনে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তার বিরুদ্ধে সর্বমোট ২৯৮ টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়। ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তাকে মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন
সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এর অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে তাকে মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ এর নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আনিসউজ্জামান আনিস এর নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালে প্রয়াত বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা খালেকুজ্জামান খোকার নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তার শহরস্ত্র বাসভবন ও দোকানে হামলা করে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও সম্পদ লুট করে। এসময় তার পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলা হয়। তাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিতে বিএনপি-জামায়াতের মদদে সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের অমানবিক নির্যাতন ও পৈশাচিকতার শিকার আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীদের তার বাসায় আশ্রয় দিয়ে দীর্ঘদিন তাদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র ও অপতপরতা রুখে দিয়ে মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে মুন্সিগঞ্জ-ঢাকার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ করে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলনের তীব্রতায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক
ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৪ সালের জাতীয় ও অর্থবহ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন তথা রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন অপতৎপরতা রুখে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলেন ।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সাথে সমন্বয় করে নির্বাচন পরিচালনায় বিশেষভাবে সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ আগষ্ট যাত্রা শুরু করে অনলাইন গণমাধ্যম ‘আমার বিক্রমপুর’। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের মধ্যে যে সকল অনলাইন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে এর মধ্যে ‘আমার বিক্রমপুর’ গত ১ বৎসর যাবৎ শীর্ষে রয়েছে।