মুন্সিগঞ্জ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমার বিক্রমপুরে ‘মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিকে দিয়ে রক্ত পরীক্ষা এ. আর ক্লিনিকে!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি।
তারা বলছে, এ. আর ক্লিনিকে কোন মানসিক অসুস্থ ব্যক্তি নেই। সংবাদে প্রকাশিত ব্যক্তি একজন দক্ষ কর্মী। রক্তের গ্রুপ নির্ণয় সঠিক উপায়ে হলেও কাগজে প্রিন্ট করার সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে।
আজ শনিবার এ. আর ক্লিনিকের প্যাডে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আল আমিন সুমন স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবাদপত্রটি আমার বিক্রমপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক বরাবর পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়- ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর আপনার বহুল প্রচারিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার বিক্রমপুরে মানসিক অসুস্থ রোগি ব্যক্তিকে দিয়ে রক্ত পরীক্ষা এ আর ক্লিনিকে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এ. আর ক্লিনিক কতৃপক্ষ নিশ্চিত করছি যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোন ব্যক্তি মানসিক রোগী নেই। যাকে উদ্দেশ্যে করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছে। সম্প্রতি একটি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় নিয়ে যে বিভ্রান্তি হয়েছে সেটি কেবল কম্পিউটার টাইপ করার সময় ভূল প্রিন্ট করা হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের রেজিস্ট্রার খাতায় উক্ত ব্যক্তির সঠিক রক্তের গ্রুপ এন্ট্রি করা আছে। আমরা আবারও বলছি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট অত্যন্ত দক্ষ কর্মী। তার বিরুদ্ধে পূর্বের কোন অভিযোগ নেই। তিনি শারিরীক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ।’
আরও বলা হয়, ‘যে ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সে সংবাদটি নিয়ে আমরা মর্মাহত। আপনার প্রতিষ্ঠান মানে নিউজ পোর্টাল সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য। আমরা চাই সঠিক ও তদন্ত সাপেক্ষে সংবাদ প্রকাশ করা জরুরি। আমরা প্রকাশিত সংবাদের সঠিক তদন্ত দাবি করে নিউজটির প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
আমার বিক্রমপুরের বক্তব্য
জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এ. আর ক্লিনিক কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে বলে মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন। ওই তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে আমরা মনে করি।
এ.আর ক্লিনিকের মত একটি পুরোনো ও বহু মানুষের কাছে পরিচিত প্রতিষ্ঠানের কাছে স্পর্শকাতর বিষয়ে এরকম ভুল কাম্য নয়।