১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ৪:৩১
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার নামে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার তন্তর ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়ার নামে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তন্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লন্ঠুর বিরুদ্ধে এই আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠে। ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের মনাই মিয়ার পুত্র কাশেম ও মজনু ঢালীর পুত্র অরুন ঢালী এই অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তন্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাড়াগাঁও সরদার বাড়ির সামনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। এখানে উপকারভোগীর জন্য মোট ৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এখানে ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে তন্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লন্ঠু ওই এলাকার কাশেমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ও অরুনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নেয়। বিষয়টি জানা জানি হয়ে গেলে অরুনের টাকা ফেরত দিলেও কাশেমের টাকা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অরুন ঢালী জানান, মিজানুর রহমান লন্ঠু ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে গোপনে ১ লাখ টাকা নেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তিনি টাকা ফেরত দেন। ভূক্তভোগী মো. কাশেম বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে লন্ঠু সাহেব ৫০ হাজার টাকা নেয়। ঘর পাব কি’না জানিনা তবে এখনও টাকা ফেরত পাইনি। টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানিয়েছি।

তন্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লন্ঠুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় একটি কুচক্রী মহল আমার বদনামের জন্য এসব কথা বলে বেড়াচ্ছে। ঘর দেয়ার নামে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা পয়সা নেইনি। তবে ভূমিহীন দ্বীন ইসলাম নামে এক জনের জন্য এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঘরের বিষয়ে লবিং করেছিলাম।

তন্তর ইউপি সচিব মো. সোহেল রানার কাছে উপকারভোগীদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নামের তালিকাটি এখনও আমার হাতে আসেনি।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভূমিহীদের ঘর বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি’না আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ জানান, গৃহহীনদের আবেদনের পরিপেক্ষিতে জনসম্মুখে লটারীর মাধ্যমে উপকারভোগীদের নাম নির্বাচিত হয়েছে। আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!