৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | সকাল ১১:৩৭
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তসত্ত্বা কিশোরী
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৭ নভেম্বর, ২০২০, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শীকার হয়ে এক কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ কিশোরীকে ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা করেছে সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের আবজল হাওলাদারের ছেলে এক সন্তানের জনক সুজন হাওলাদার।

ধর্ষণের শীকার কিশোরী জানান, সুজন হাওলাদার আমার সাথে প্রায় দেড় বছর যাবত প্রেম করছে। আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছে নিয়মিত। আমি অন্তঃস্বত্বা হলে তাকে বলি আমি বাচ্চাটা ফেলে দেই সে বলে বাচ্চা ফালাইলে তোমাকে বিয়ে করব কিভাবে। তুমি বাচ্চাটা যদি না রাখো তাহলে তোমাকে বিয়ে করব না। এখন আমার পরিবারের সবাই জানলে ও এলাকায় আমাদের ঘটনা জানা-জানি হলে সে আমাকে অস্বীকার করে বলে বিয়ে করবেনা।

‘এখন আমি ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা এই বাচ্চা নিয়ে কোথায় দাড়াব, আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

ধর্ষণের শীকার কিশোরী

কিশোরীর দাদি বলেন, রাক্ষিতপাড়া ৬নং ওয়ার্ড মিরাজ মেম্বারের ভাগিনা ও আবজল হাওলাদারের লম্পট ছেলে সুজন হাওলাদার আমার নাতনিকে নষ্ট করছে। এখন সে এলাকায় বইলা বেড়াইতাছে টাকা দিয়া আমার নাতনির সাথে শারিরীক সম্পর্ক করছে। আমরা গরিব বইলা কি আমাগো ইজ্জতের কোন দাম নাই।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমরা গরিব বইলা আজ আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করল বদমাইশ সুজন। আমি এর বিচার চাই।

কোলা ইউপি সদস্য মিরাজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দুই পক্ষকে ডেকে বলে দিছি তোমরা যেটা ভাল মনে কর সেটা কর পারলে নিজেদের মধ্যে সমাধান কইরা ফালাও। আইন সবার জন্য সমান আমার ভাগিনা যদি অন্যায় করে তাহলে সে শাস্তি পাবে।

এ বিষয়ে সুজন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিক বার ফোন করলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিরাজদিখান থানার ওসি রিজাউল হক বলেন, এই ঘটনায় এখনো কেও কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

error: দুঃখিত!