মুন্সিগঞ্জ, ১৮ মে, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের তালিকা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুন্সিগঞ্জে দুই আওয়ামী লীগ নেতার দ্বন্দে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গোলাগুলি, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৮ মে) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব শিলমন্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের ৬ জন আহত হয়।
গোলাগুলির ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় নিজেদের শক্তির মহড়া দিতে ২০-৩০ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়া হয়। তবে গুলি কারও গায়ে লাগেনি। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা প্রকাশ করে দেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর হোসেন এর সাথে পূর্ব রাজনৈতিক বিরোধ ছিলো। এর জের ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিলো না।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেছেন, ‘ত্রাণ বিতরণের তালিকা করছি এমন খবর পেয়ে নুর হোসেনের ছেলে ফিরোজ ভূঁইয়া (৩৩) আমার বাসায় এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে।’
সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, তাদের পছন্দমত লোকের নাম তালিকায় না থাকায় এ ঘটনা ঘটায় তারা।
৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর হোসেন ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘আমরা আগে একই লোক ছিলাম। অস্ত্র পাবো কোথায়! এসব ঘটনার দায় সাইদুরের।
নুর হোসেন এর ছেলে ফিরোজ ভূঁইয়া (৩৩) ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘আমি বিকাশের দোকানে গিয়েছিলাম, সাইদুর রহমানের ভাগিনা কাদের এসময় আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৩ রাউন্ড গুলি খোসা উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সেখানে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আহত অবস্থায় সাহাবুদ্দিন (৫৮), মনির হাসান ভূঁইয়া (৬৪), শিপন (৩২) ও কাদেরকে (৩৮) মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে তাজা গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। সেখান অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।