মুন্সিগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল, ২০২০, গজারিয়া প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তিনটি ছেলে। বয়স তিনজনেরই (১২)। চা দোকানদার মহসিনের ছেলে ভাতিজা ও ভাগিনা। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ।
ইউটিউব দেখে দেখে ককটেল তৈরী করতে গিয়ে বিষ্ফোরিত হয়ে তিন শিক্ষার্থীই গুরুতর আহত হয়েছে। এমন একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়ার এম এ আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ৩জন শিক্ষার্থী।
আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকা মেডিকেলে স্থানন্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা আনাম।
স্থানীয়রা জানান, গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের হান্নান মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন চায়ের দোকানদার মহসিনের বাড়িতে রাতে ককটেল বিষ্ফোরণের বিকট আওয়াজে আশপাশের লোকজন বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তিন শিক্ষার্থীই গুরুতর আহত হয়েছে।
গজারিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (২৯ এপ্রিল) ৮ টার সময় গজারিয়া থানার চরবাউশিয়া বড়কান্দি সাকিনে চা দোকানদার মহসিনের চৌচালা বসত ঘরের দুটি রুমের পূর্ব পাশের কক্ষে চা দোকানদার মহসিনের ছেলে শাকিবুল (১২), ভাতিজা রাব্বি (১২) পিতাঃ নজরুল ও ভাগিনা হাসান (১২) পিতাঃ সফিক মাতাঃ হাসিনা (নানা মুক্তিযুদ্ধা ফিরোজ মিয়া এর বাড়িতে থাকে) বসে ককটেল বা কোন বিস্ফোরক তৈরী করার সময় কিংবা পূর্বে তৈরী করা বিস্ফোরক নারাচারা করার সময় অসাবধানতা বশত বিস্ফোরণ ঘটলে উক্ত হাসানের দুটি পায়ে মাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে মারাত্মক আহত হয় এবং হাতেও আঘাত লাগে। জৈনক রাব্বির পেটে স্প্রিন্টার এর আঘাত লাগে এবং সাকিবুলের ডান পায়ে পেটে ও থুতনিতে আঘাত লাগে। আহত তিন জন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যায়।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হান্নান মেম্বার জানান, বিষ্ফোরিত হওয়ার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ইউটিউব দেখে ককটেল বানাতে গিয়ে বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়। ২০টি ককটেল বানাচ্ছিলো এই তিনটি ছেলে। ২০টি মধ্যে ১৮টি তৈরী হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ২টি ককটেল