২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | দুপুর ২:৩০
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
টংগিবাড়ীতে ১৫ মাসেও সংস্কার হয়নি জোড়া ব্রীজের এপ্রোচ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ অক্টোবর, ২০২১, আপন সরদার (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের হাসাইল টু কামারখাড়া যাতায়াতের প্রধান সড়কটির নশংকর জোড়া ব্রীজের এপ্রোচ বন্যার প্রবল স্রোতে গত বছরের ১৫ জুলাই ধ্বসে যায়।

এপ্রোচ ধ্বসের কারনে উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে টংগিবাড়ী উপজেলা হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এপ্রোচ ধ্বসের ১৫ মাস পাড় হলেও এখনো ব্রীজ দুটির এপ্রোচ সংস্কার না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষায় নদীর পানি বাইনখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, মালিগাও,নশংকরে প্রবেশ করায় কয়েক বছর পূর্বে এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে সেতুটির নিচে দেয়াল নির্মাণ করে। দ্রুত বেগে পানি প্রবেশের গতিরোধ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু গত বছর বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে সেতুটি ভেঙে যায়। প্রশাসন সেতুটির উভয় পাশ মজবুত না করেই দেয়ালটি ভেঙে ফেলে। যার কারনে ধীরে ধীরে ব্রীজ দুটির এপ্রোচ ধ্বসে পরে। ফলে এই ব্রীজ টি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে ব্রীজের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলাকে সংশ্লিষ্টদের ভুল পরিকল্পনা ছিলো বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কালাম জানান, এই ব্রীজ টি ব্যবহার করে আমাদের দিঘিরপাড় যাওয়া আসা করতে হয় অথচ ১৫ মাস যাবত এই ব্রীজ দুটির এপ্রোচ সংস্কার না হওয়ায় খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়।

মটরসাইকেল চালক শহিদুল ইসলাম জানান, দিঘিরপাড় থেকে হাসাইল যেতে মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগে অথচ এই ব্রীজটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে দিঘিরপাড় থেকে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে হাসাইল যেতে।

দীর্ঘ ১৫ মাসেও ব্রীজের এপ্রোচ সংস্কার না হওয়ার কারন জানতে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম রাজুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কামারখাড়া থেকে হাসাইল সম্পূর্ণ রাস্তার সংস্কার করার টেন্ডার হয়ে গেছে। সংস্কার কাজ চলছে।

error: দুঃখিত!