২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ২:২৪
২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও যৌতুকের বলি হলেন টঙ্গীবাড়ী’র হাফজা!
খবরটি শেয়ার করুন:

টঙ্গীবাড়ী উপজেলার গোপিনপুর গ্রামের আ. মতিন মোল্লার একমাত্র মেয়ে হাফজা আক্তার এর দাফন সম্মন্ন হয়েছে । সোমবার রাতে জানাজা শেষে তাকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার নুরপুর কবস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সাভার উপজেলার নবীনগর গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকের সিড়ির নিচ হতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে নিহতের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম টেন্টু। ঘটনার পর হতে নিহতের স্বামীর পরিবারের লোকজন পালাতক রয়েছে।

জানাগেছে, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার গোপিনপুর গ্রামের আ. মতিন মোল্লার মেয়ে হাফজা আক্তার (২৮) এর সাথে একই উপজেলার বড়াইল গ্রামের ইসলাম মাদবর খোকন এর ছেলে হানিফ মাদবরের (৩২) ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের ২ ছেলে জায়েদ (৩) ও জাবেদ ৫মাস রয়েছে। বিয়ের সময় ২১ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫লক্ষ টাকার ফর্নিচার প্রদান করে কনে পক্ষে। পরে ঢাকা জেলার নবীনগর উপজেলার জালালাবাদ আশুলিয়ায় স্থাণীয়ভাবে বসবাস করতে শুরু করে ওই দম্মতি। । বিয়ের দু-বছর পর হতেই বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি হতে টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে স্বামী হানিফ।

পরে এনিয়ে বিভিন্ন সময় শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম টেন্টু জানান, আমার একমাত্র বোন জামাই ও তার পরিবার আগে যৌতুকের জন্য বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। পরে সে আমার কাছে ধার হিসাবে ২০লক্ষ টাকা চায়। আমি প্রায় ৬ মাস আগে তাকে ধার হিসাবে ২০লক্ষ টাকা দেই। ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে গত ২ মাস আগে সে আমার কাছে আরো ১৫লক্ষ টাকা ধার চায়। এনিয়ে কয়েকবার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে বিচার শালিশ হয়। বোন হাফজা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১ মাস আগে আমার বাড়ি চলে আসে। পরে এনিয়ে আবারও শালিশ হয়।

শালিশের পরে বোন জামাই আমার বোনকে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে গত রোববার রাতে আমি ওই এলাকার এক লোকের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জানতে পারি আমার বোন মারা গেছে। পরে আমি আমার বোন জামাইসহ আতীœয়দের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে রোববার রাত ৩টায় নবীনগর গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকের সিড়ির নিচ হতে আমার বোনের লাশ উদ্ধার করে নবীনগর থানায় নিয়ে যাই এবং ওই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

পরে পুলিশ আমার বোনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করলে ওইখানে ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের গ্রামের বাড়ির নুরপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করি। এ ব্যাপারে হানিফ মাদবর ও তার পিতা ইসলাম মাদবর এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। ওই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীনগর থানার এসআই অভিজিৎ চৌধুরী জানান, নিহতের গলায় গভীর দাগ ছিলো। আপাতত অপমৃত্যূ মামলা হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!