১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৪:৪৭
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
সিরাজদিখানে সেতুর অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, সিরাজদিখান প্রতিনিধি, (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৪-৫ টি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। এখানে সেতুর অভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।

জানা গেছে, পাকা সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে হাজারো মানুষ।

উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ধলেশ্বরী শাখা নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো।

এলাকাবাসীর নিজেদের অর্থে এই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলার রাজানগর, চিত্রকোট, শেখরনগর, কেয়াইনসহ ৪-৫টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই দিক দিয়ে ঢাকা যাতায়াত করেন।

এছাড়াও হাটবাজার ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন।

এলাকাবাসির দাবি, এই ব্রিজটি নির্মান হলে এই রোড দিয়ে ৩০ মিনিটে মোহাম্মদপুর, এক ঘন্টায় এয়ারপোর্টে যাওয়া যাবে।

বছরের পর বছর চরম ভোগান্তি সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুটি মসজিদ, একটি মাদরাসা ও এতিমখানা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটি দিয়েই যাতায়াত করছে।

একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর বহুদিনের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে।

গ্রামবাসীদের সাথে কথা হলে অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলেন, নির্বাচনের সময় জন প্রতিনিধিরা আমাদের কাছে আসে ভোট নিতে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেয় আমাদের যাতায়াতের পথে ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়ার। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর গ্রামবাসীদের খোজ-খবর নেয় না।

এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।


স্থানীয় শিক্ষিকা শাকিলা আক্তার বলেন, কিছু দিন পর পর এই ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো থেকে পরে গিয়ে অনেকেই আহত হন। আমিও পানিতে পরে গিয়ে আহত হয়েছি।

আবার পানিতে পরে মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়েসের মহিলা ও পুরুষরা।


উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ব্রিজ টা নির্মাণের জন্য বহুদিনের প্রাণের দাবি ওই এলাকার মানুষের। বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। স্

কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর জন্য কি ভাবে এই ব্রিজ নির্মাণ করা যায় সে জন্য আমাদের এমপি সাহেব সহ আমরা চেষ্টা করছি। দ্রুত যেন ব্রিজ টা নির্মাণ করা যায়। যাতে এলাকার মানুষগুলোর দূর্ভোগ কমাতে পারি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশফিকুন নাহার বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি অবগত আছি। কিছু দিন আগে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছি খুবই ঝুকিপূণ। আগে কয়েক বার এই ব্রিজটির জন্য কাগজ পত্র পাঠানো হয়েয়ে ঢাকা থেকে অনুমোদন হয়নি। তার কারনে আমরা অন্য রকম চিন্তা করছি সেখানে খুব শীঘ্রই লোহার একটি ব্রিজ বানিয়ে দেয়ার ।

error: দুঃখিত!