১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ১০:৩৭
সিরাজদিখানে ব্রিজ আছে রাস্তা নেই!
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের চন্দনধূল মৃধাবাড়ির খালের ওপড় ব্রিজ আছে কিন্তু দুপাশে কোনো সড়ক নেই। সড়কবিহীন ব্রিজটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে অনর্থক সরকারি টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা রয়েছে ভোগান্তিতে।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামে মৃধাবাড়ির পশ্চিম পাশে এবং হোতারচকের পূর্বদিকের খালের ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ হয়। চন্দধূল গ্রামের স্বপন মৃধার বাড়ির পাশের পাকা রাস্তা হতে মামুন বেপারীর বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই চোখে পড়বে এই সংযোগ সড়কটির গাইড অংশবিহীন ব্রিজটির। ব্রিজটির মূল অংশের কাজ শেষ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো পরিকল্পনা নেই দুই পাশের সংযোগ গাইড অংশের কাজ শেষ করার।

ব্রিজের এই রাস্তা দিয়ে চন্দনধূল,কুসুমপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে প্রতিনিয়ত। বর্ষার সময় এখানকার মানুষের একমাত্র উপায় নৌকা। বছরের পর বছর এই গ্রামের মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এই একটি ব্রিজের জন্য।

প্রায় দুই বছর আগে দীর্ঘদিনের এই আশা পূরণের জন্য এই স্থানে একটি ফুটপাত ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ব্রিজের মূল অংশের কাজ শেষ হওয়ার পর অজানা কারণে প্রায় দুই বছর পার হলেও এখনো এই ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ গাইড অংশের কাজ শেষ করা হচ্ছে না।

এই সংযোগ অংশের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই ফুটপাত ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না। এতে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষের।

এদিকে কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক পথপাড়ি দিয়ে তবেই কুসুমপুর, ইছাপুরা, সিরাজদিখান বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন অথচ এই ব্রিজটি ব্যবহারের উপযোগী হলে সিরাজদিখানের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হতো।

উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামের মৃত তোপাজ্জল মৃধার ছেলে স্বপন মৃধা, মৃত সাঈদ মৃধার ছেলে রমজান মৃধা, মৃত আবদুল কাদের খার ছেলে মকবুল হাসান, জহিরউদ্দিন সরদারের ছেলে রনি সরদারসহ আরও অনেকেই জানান, আমরা এই কয়েকটি গ্রামের মানুষ খুবই অবহেলিত। আমাদের গ্রামে নেই উন্নত মানের যোগাযোগব্যবস্থা। আমরা অনেক কষ্টে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে এই স্থানে একটি ফুটপাত ব্রিজের অনুমোদন নিয়ে এসেছি। কিন্তু প্রায় দুই বছর পার হলেও ব্রিজটির মূল অংশের কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ গাইডলাইনের কাজ এখনো পর্যন্ত শেষ না হওয়ায় আমরা এই ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছি না। এতে আমাদের যে চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোয়াইব বিন আজাদ জানান, চন্দনধূল গ্রামে এটা আমাদের এলজিইডির ব্রিজ না।

error: দুঃখিত!