২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ৬:৪৬
সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত
খবরটি শেয়ার করুন:

পৌষের শুরুতে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ জানান দিয়ে যাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। ব্যাহত হচ্ছে চলাফেরাসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম। কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এতে ব্যাহত হয় চলাফেরাসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জনপদে ঘন কুয়াশা ও শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।

গাইবান্ধা: গত কয়েকদিন ধরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়িসহ ৭টি উপজেলায় কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাজ করতে না পেরে বিপাকে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

দিনাজপুর: কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের জনজীবন। শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত কয়েকদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

রাজশাহী: ধীরে ধীরে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে উত্তরের জেলা রাজশাহীতেও। শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আফরোজা খাতুন বলেন, ‘শীতের তীব্রতা সামনে আরও বাড়তে থাকবে। আর তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে থাকবে।’

মানিকগঞ্জ: ভোর থেকেই মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। হঠাত্ বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দেখা নেই সূর্যের। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাট অনেকটাই ছিল ফাঁকা। খেটে খাওয়া মানুষ কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে ছুটেছেন কর্মস্থলে। শীতের দাপটে ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা-যমুনা ও কালীগঙ্গা নদী পাড়ের মানুষদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শহর কি গ্রাম সব জায়গাতেই কাঠ, খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

পিরোজপুর: সারাদিন মেঘলা আবহাওয়া ও মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে পিরোজপুর অঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। বৃষ্টি থাকায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। শীতবস্ত্র ও সুরক্ষিত বাসস্থানের অভাবে গরীব মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঠে থাকা পাকা ধান নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। শাক-সবজির চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

ঈশ্বরদী: ভোর রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পাবনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায়  জেলার নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন ফুটপাতে শীতকাপড়ের দোকানগুলোতে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দিনাজপুর ও নীলফামারী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি রংপুর বিভাগের অবশিষ্ট অংশ এবং রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু অঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে আজ শনিবার মেঘলা আবহাওয়ার উন্নতি হলেও শীতের তীব্রতা কমবে না।

আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে।

এ ছাড়া হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে দেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায়। এ ছাড়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মাঝারি বা তীব্র এবং অন্যত্র ১-২টি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

 

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক ও সময় টিভি

error: দুঃখিত!