ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের বর্ষপূর্তি ও বিএনপি ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসে মুন্সিগঞ্জে মাঠে নামতে পারেনি বিএনপি।
জেলা শহরে অবস্থিত জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ও ছিলো খালি। কার্যত এদিন মাঠে ছিলো জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
দুপুরের পর থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এর পর তারা শহরজুড়ে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষ করে র্যালী করে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও সদর-গজারিয়া আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারীরা ছড়িয়ে ছিলো পুরো শহরজুড়েই। একপর্যায়ে তারা জেলা বিএনপির কার্যালয় অবরুদ্ধ করে বিএনপি-জামায়াত বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
মুন্সিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, বিএনপি এখন একটি ধ্বজভঙ্গ দলে পরিণত হয়েছে। স্বার্থের রাজনীতি আর আদর্শের রাজনীতি কখনো এক পাল্লায় মাপা যায় না। তাদের নেতারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায়ই বরাবর ব্যাস্ত। তারা পুলিশের লাঠির বাড়ি ভয় পায়, আবার প্রাসাদে বসে জনগণের টাকা মেরে খায়্ একারনেই তাদের এই দশা।
মুন্সিগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য ও শহর ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান আরিফ ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের মেয়াদে মুন্সিগঞ্জ শহরে নিজেদের অবস্থান খুইয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের কারনে।’
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বাসিন্দা আপন দাস ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ শহরে বিএনপি ও তাদের মিত্র জামায়াতের এখন আর সুঅবস্থান নেই। তারা রাস্তায় নামার সাহসও পায়না। মাঝে মাঝে তারা কার্যালয়টি টিকিয়ে রাখতে এর ভেতরেই ‘বনভোজনের’ আয়োজন করেন। তাদের লালিত সংবাদকর্মীরাও সেই সংবাদ সংগ্রহ করে মুখরোচকভাবে তুলে ধরেন। বাস্তবে মুন্সিগঞ্জ শহরে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের কোন অবস্থান নেই।’