বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ে রূপ নেয়ায় সম্ভাব্য ঝড়ো হওয়া, জলোচ্ছাস, পাহাড় ধ্বস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ আশঙ্কায় ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঘূর্নিঝড়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ আশঙ্কায় কক্সবাজার জেলাব্যাপী উপকূলে ৪ নং সর্তকতা সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় এসব এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪/৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে ও এসব প্রতিষ্ঠান অস্থায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, জেলার উপকূলবর্তী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সব ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্ধারকারী দলকেও প্রস্তুত থাকতে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক জানিয়েছেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে কক্সবাজার থেকে মাত্র ১৮৫ কি.মি. দূরে অবস্থান করছে ও ঘন্টায় ৫০/৬০ কি.মি. বেগে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। কক্সবাজার অবস্থানরত দেশী-বিদেশী সব পর্যটককেও কক্সবাজার ত্যাগ করতে প্রশাসনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। উক্ত ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল¬াহ রফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড.অনুপম সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শাহ এস এম হাবিবুর রহমান হাকিম প্রমুখ।