২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সন্ধ্যা ৭:০৬
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
খবরটি শেয়ার করুন:

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এবারের বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য জাতির কাছে একেবারেই ভিন্ন। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী এদেশীয় দালালদের অন্যতম প্রধান মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ায় আছে কলঙ্ক মোচনের তৃপ্তি। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই খুনিকে ফিরিয়ে না আনতে পারার অতৃপ্তিও তাড়া করছে জাতিকে।
মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত পরাজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখনই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাঙালী জাতির মেধাবী সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু অপেক্ষায় কেটে গেছে অনেক বছর। অবশেষে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। ফাঁসির রায় আসে বিদেশে পলাতক আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মঈনুদ্দিনের। কিন্তু রায় কার্যকর করা যায়নি। তাদেরই অন্যতম সহযোগী আল বদর কমান্ডার আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয় গত মাসে। স্বান্ত্বনা মেলে মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের।
তবে এই একটি দণ্ড কার্যকর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার সুযোগ নেই মনে করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা, মুক্তিযোদ্ধারা। বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত সব অপরাধীকেই বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দিলেন তারা।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭১-এর ২৯ ডিসেম্বর গঠিত বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ওই কূট পরিকল্পনা সফল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

error: দুঃখিত!