সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে থাকবে সরকার।
তিনি বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় লঙ্গরখানা খোলাও হবে।
তিনি আজ পদ্মা তীরের মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বন্যার্তদের ১ লাখ টাকা প্রদান করেন।
এছাড়া ৫ হাজার বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে চাল, নগদ অর্থ ও খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক হুইপ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, কেন্দ্রীয় অাওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ডাবলু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ শিকদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির ও আব্দুল্লা আল মামুন তোফাজ্জল, স্থানীয় কুমারভোগ ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় তুহিন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ অাহম্মেদ পাভেল।
এসময় সরকারের ত্রাণ তৎপরতা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল।
উল্লেখ্য, ডা. বদিউজ্জামান ডাবলুর ভাই প্রকৌশলী কামরুজ্জামান ভূইয়া ’৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে প্রাণ হারান। সভায় তার কথা স্মরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণ শেষে পদ্মা সেতু সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আগামী ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে। সে অনুযায়ী চীনে তৈরি সুপার স্ট্রাকচার এখন মাওয়ার পথে। পদ্মায় সেতুর ২৪টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত সেতুর অগ্রগতি ৩৭ শতাংশ।