লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি জেলায় দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্ততপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আহত হয়েছেন ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
শিয়া মুসলিমদের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত অঞ্চলটিতে এই হামলা চালানো হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) দাবি করেছে, তারাই এই হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের ভেতরে হেজবুল্লাহর শক্ত কোনো ঘাঁটিতে একবছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে চালানো প্রথম হামলা এটি। সিরিয়ায় চারবছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে হেজবুল্লাহ যখন তাদের অংশগ্রহণ বাড়াচ্ছে ঠিক সেই সময়ে হামলাটি চালানো হল।
ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র এই রাজনৈতিক গোষ্ঠীটি সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে লড়াই করার জন্য শত শত যোদ্ধা পাঠিয়েছে।
সিরীয় সরকারি বাহিনী হেজবুল্লাহ ও ইরানি বাহিনী এবং রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় বি্দ্রোহীসহ আইএসের জঙ্গিদের মোকাবিলায় লড়াইয়ের তীব্রতা বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শেষভাগে শিয়াদের কমিউনিটি সেন্টারে দুটি বিস্ফোরণই প্রায় একই সময়ে ঘটেছে। বুরজ আল-বারাজনেহর বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার একটি বেকারির কাছে এই বিস্ফোরণ দুটি ঘটানো হয়।
বিস্ফোরণস্থলের কাছেই হেজবুল্লাহ পরিচালিত একটি হাসপাতালও রয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ায়েল আবু ফাউর জানিয়েছেন, ৪৩ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন।
অনলাইনে সমর্থকদের পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) দাবি করেছে, বুরজ আল-বারাজনেহ এলাকায় তাদের সদস্যরা একটি বিস্ফোরকবোঝাই বাইকের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বিস্ফোরণের পর সেখানে উৎসুক মানুষেরা জড়ো হওয়ার পর একজন আত্মঘাতী হামলাকারী দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে।
আইএস দাবি করেছে, হামলায় ৪০জন নিহত হয়েছেন।
হেজবুল্লাহ ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। গোষ্ঠীটি তার শত্রুদের ‘দীর্ঘ লড়াইয়ের’ হুঁশিয়ারি জানিয়েছে।