১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | ভোর ৫:২৮
লঞ্চডুবি: মুন্সিগঞ্জের কোন জায়গার কত জন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩০ জুন, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

যারা মারা গেছেন: শাহাদাত হোসেন (৪৪), আবু তাহের বেপারী (৫৮), সুমন তালুকদার (৩৫), ময়না বেগম (৩৫), তার মেয়ে মুক্তা আক্তার (১৩), আফজাল শেখ (৪৮), মনিরুজ্জামান মনির (৪২), গোলাপ হোসেন (৫০), সুবর্ণা বেগম (৩৮), তার ছেলে তামিম (১০), আবু সাঈদ (৩৯), সুফিয়া বেগম (৫০), শহিদুল ইসলাম (৬১), মিজানুর রহমান কনক (৩২), সত্য রঞ্জন বনিক (৬৫), শামীম বেপারী (৪৪), বিউটি আক্তার (৩৮), আয়শা বেগম (৩৫), মো. মিল্লাত (৩৫), মো. আমির হোসেন (৫৫), সুমনা আক্তার (৩২), পাপ্পু (৩২), মো. মহিম (১৭), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), হাসিনা রহমান (৩৫), সিফাত (৮), আলম বেপারী, তার ভাগ্নে তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), সাইফুল ইসলাম (৪২) ও বাসুদেব নাথ (৪৫)।

রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ৩০ জন মুন্সিগঞ্জের এবং ১ জন ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার। ৩০ জনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার ১৯ জন, টংগিবাড়ী উপজেলার ৯ জন, সিরাজদিখান উপজেলা এবং শ্রীনগর উপজেলার ৩ জন।  

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, এমভি মর্নিং বার্ড নামে ওই লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমের কাঠপট্টি থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে চাঁদপুর  থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় মর্নিং বার্ড। জেলা প্রশাসনে নিহতদের তালিকা করা হয়েছে।

এই তালিকা অনুযায়ী:
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নিহতরা হলেন– মিরকাদিমের গোয়ালঘুন্নির আব্দুর রহিমের ছেলে, শাহাদত হোসেন (৪৮), একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আবু তাহের বেপারী (৫৮), আবুল কালামের ছেলে স্মুন তালুকদার (৩৫), মোল্লাকান্দির মজিদ সারেংয়ের ছেলে সাইদূর  হোসেন (৩৯), রিকাবীবাজার পশ্চিম পাড়ার পরশ মিয়ার সুফিয়া বেগম (৫০), রামপালের ধলাগাঁওয়ের মো. দেলোয়ার হোসেন মো. মিজানুর রহমান কনক (৩২), রামগোপালপুরের মৃত দেবেন্দ্র বনিকের ছেলে সত্ত রঞ্জন বনিক (৬৫), রিকাবীবাজারের নহর দিঘিরপাড় গ্রামের মো  সোহরাবের ছেলে মো. পাপ্পু (৩২), মালপারার হাজী আব্দুর রফ মাতবরের মো. সাইফুর রহমান উজ্জ্বল (৪০), রামপালের ধলাগাঁওয়ের মৃত আলাউদ্দিন শেখের মেয়ে বিউটি বেগম (৩৮), মিরাপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের শামীম বেপারী (৪৭), নৈদিঘিরপাড়ের আব্দুল মজিদের ছেলে মো.দিদার হোসেন (৪৫),পানহাটার আব্দুল সামাদের ছেলে মো. মিল্লাত (৩৫), রিকাবীবাজারের জাহান শরীফের ছেলে ইসলাম শরীফ (৩৫), তিলারদির আফসারুদ্দিনের মো. সাইম (১৭), নৈদিঘিরপাড়ের আব্দুল মজিদের হাফেজা খাতুন (৩৮)।

টংগিবাড়ী উপজেলার নিহতরা হলেন- টংগিবাড়ী-সোনারং গ্রামের মাসুদ শেখের দুই মেয়ে সরনা বেগম (৩৫) ও মুক্তা আক্তার (১৩), বাঘিয়ার ইব্রাহিম শেখের ছেলে আফজাল শেখ (৪৮), আব্দুল্লাহপুরের আব্দুল হালিমের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৪২), রামপালের মশরী বাজারের আব্দুল হাকিম ভূঁইয়ার গোলাম  হোসেন (৫০),  রামপালের সুজানগরের জাকির হোসেনের স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার, শিশুপুত্র তামিম  (১০),যশলংয়ের বাঘিয়ার মৃত ইব্রাহিম শেখের ছেলে  মো. শহিদুল ইসলাম (৬৯), কামারখাড়ার খাড়ার পাচকরি বেপারীর আয়শা বেগম (৬৫), টঙ্গীবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ময়না বেগম(৩৫), আব্দুল্লাহপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে সিফাত (০৮), আশরকাটি গ্রামের বেলায়েত হোসেনের মেয়ে তালহা (২)। এছাড়া সিরাজদিখান উপজেলার পাইকপাড়ার মৃত বাদল  দেবনাথের ছেলে বাসু দেবনাথ (৪৫), শ্রীনগর উপজেলার  তারাহাটি গ্রামের জয়নাল বেপারীর ছেলে আলম বেপারী (৩৮)। ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার বানাঘাটা গ্রামের মৃত রুস্তম শরীফের ছেলে আমির  হোসেন (৫৫)।

জানাজার পর রাতেই অনেকের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন রাতেই স্বজনহারাদের বাড়িতে যান সমর্মিতা জানাতে জানাজায়ও অংশ নেন।