১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৬:২৭
রোষ্টে মেশানো হয় কাপড়ের রঙ! ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ধরা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে রোষ্ট আমরা কে না খাই। দেখতে লোভনীয় এই রোষ্ট তৈরিতে কত রকমের প্রণালীই না ব্যবহার করেন রন্ধনশিল্পীরা। কিন্তু আমরা কজনে যানি এই রোষ্টকে আরও সুন্দর দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর টেক্সটাইল কালার!

আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিমাড়া এলাকার একটি মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমনই এক রং ব্যবহারের খবর পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মুন্সিগঞ্জ জেলার সহকারি পরিচালক আসিফ আল আজাদ ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, হাতিমাড়া এলাকার মায়ের দোয়া স্টোরে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, কাপড় রং করার কাজে ব্যবহৃত টেক্সটাইল কালারকে জর্দার রং বা রোষ্ট এর রং নামে বিক্রয় করা হচ্ছে। এখান থেকে এই রঙ কিনে নিয়ে স্থানীয় বাবুর্চিরা রোষ্ট তৈরিতে ব্যবহার করছেন।

আসিফ আল আজাদ জানান, টেক্সটাইল কালার শরীরে প্রবেশের পর আমাদের জরুরি অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর যেসব ক্ষতি করে, তার বিবরণ দীর্ঘ। আরও মুশকিল হলো, টেক্সটাইল কালার সহজে বায়ো-ডিগ্রেডেবল নয় বলে শরীরের এই ক্ষতি হতে থাকে সুদীর্ঘ সময় ধরে।

তিনি বলেন, তবে সবচেয়ে বেশি ও দৃশ্যমান ক্ষতিগুলো হয় আমাদের লিভার, কিডনি, হূৎপিণ্ড ও অস্থিমজ্জার। এগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চা ও বৃদ্ধদের বেলায় নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি, তরুণ-তরুণীদের কিছুটা দেরিতে। 

অভিযানে দোকানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।

বাজার অভিযানের সহযোগীতা করেন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, জামাল উদ্দিন মোল্লা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মুন্সিগঞ্জ জেলার সহকারি পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, সব দোকানদারদের সতর্ক করা হচ্ছে কেউ যাতে ফুড কালারের নামে কাপড়ের রঙ বিক্রি না করেন। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরকম পাওয়া গেলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

error: দুঃখিত!