২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | বিকাল ৪:১০
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এভিজেএম এর দুই শিক্ষক বান্দরবানে বদলী
খবরটি শেয়ার করুন:

অবশেষে মুন্সিগঞ্জের প্রাচীন ও স্বনামধন্য এভিজেএম সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বদলীর অর্ডার হয়েছে।

দিবা ও মর্নিং শাখার শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সোমবার ৪ অক্টোবর স্বাক্ষরিত স্মারক নং-৩৭.০২.০০০০.১০৬.১৯.০০১.১৫-২৪৫১ এ বদলীর আদেশ দেয়া হয়।

মুন্সিগঞ্জের স্বনামধন্য দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রী নির্যাতন থেকে শুরু করে বিভিন্ন হয়রানী করে আসছে কতিপয় অসৎ শিক্ষক। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে এক অভিভাবক জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেও পত্রপত্রিকার কার্টিংসহ অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরে মাধ্যমিক ও উচচ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, এভিজেএম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) জয়নুল আবেদীনকে বান্দরবান জেলার আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক (ভূগোল) মোহাম্মদ শাইদুল ইসলামকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়িতে বদলী করা হয়েছে। বদলিকৃত সহকারী শিক্ষকবৃন্দ আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে বিমুক্ত হওয়ার আদেশ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য: সহকারি শিক্ষক (ভূগোল) মোহাম্মদ শাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মেয়েদের শরীর স্পর্শ করার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলে পরীক্ষায় খাতায় নাম্বার কমিয়ে দিতেন তিনি। মেয়েদের পর্দা ও বোরকা নিয়েও অশালীন মন্তব্য করতেন তারা এছাড়াও মেয়েদের শরীর নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান করে বলেছেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।

আরেকজন এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) জয়নুল আবেদীন। এই দুইজন শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্ন প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষার্থীদের কাছে ফাঁস করে দেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির প্রশ্নপত্রও এরা বিগত সময় ফাঁস করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে জয়নুল আবেদীন একজন শিক্ষক ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে সকল ক্লাসেই যৌন উত্তেজক ও হয়রানী মূলক গল্প ক্লাসে বলে থাকেন। শিক্ষকদের নিয়েও তিনি বাজে মন্তব্য করেন। তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সময় নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে ভর্তি বানিজ্য করে প্রাইভেট পড়ান।

error: দুঃখিত!