১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | দুপুর ২:২৮
যৌণতা’র একাল সেকাল: অফলাইন টু অনলাইন-এর বাজার বাস্তবতা এবং আমাদের মূল্যবোধের সংস্কৃতি
খবরটি শেয়ার করুন:

একটি ওয়েবসাইটে ঈদের আগের দিন রাতে একটি নাটক আপলোড করা হয়। তারও আগে, তার একটি প্রোমো প্রচার করা হয়। সেই প্রোমোটি বেশ বির্তকিত হয় “ভালগারিজম” প্রোমোট করার দায়ে। মূল্যবোধ বাঁচানোর কথাও উঠে আসে সামনে। সে বির্তকে আমিও অংশ নেই। কিন্তু আমার শুরু থেকেই মনে হয়েছে এই বিষয়টা শুধু একটা প্রোমো, একটা নাটক,একটা ফেসবুক পোষ্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমি তাই যৌণতার অফলাইন টু অন লাইন এবং আমাদের অবস্থা নিয়ে ধার করা কিছু জ্ঞান তুলে ধরলাম।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে, অনলাইন-অফলাইন মিডিয়াভিত্তিক যৌণতা’র উপর সামাজিক প্রভাব ও সমাজে এর প্রভাব নিয়ে আমাকে নিয়মিত পড়া-শোনা করতে হয়। পড়তে পড়তে অনেক মজার তথ্য উপাত্ত সামনে চলে অাসে। সেরকম কিছু তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এই ব্লগ।
স্টিভেন ডি লেভিট এবং স্টিফেন জে ডুবনার তাদের ফ্রিকোনোমিক্স বই-এ উল্লেখ করেছেন- ১৯১০ এর শুরুর দিকে শিকাগোর মেয়েরা পতিতাবৃত্তিকে যুতসই বেশি মনে করতো। তার কারন ছিলো- “Converted into today’s dollars, the $6-per-week shopgirl had an annual salary of only $6,500. The same woman who took up prostitution at $25 a week earned the modern equivalent of more than $25,000 a year. But the Vice Commission acknowledged that $25 per week was at the very low end of what Chicago prostitutes earned. A woman working in a “dollar house” (some brothels charged as little as 50 cents; others charged $5 or $10) took home an average weekly salary of $70, or the modern equivalent of about $76,000 annually. (Levitt & Dubner, 2009). মজার বিষয় হলো সে সময় ভালো একটা রেস্তোরায় এক বেলা রাতের খাবারের দাম ছিলো এ সময়ের ডলার মূল্য’র ১২ডলার। একই সময়ে মানুষ শুধুমাত্র ক্লাবে প্রবেশ করার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যয় করতো ২৫০ ডলার (বর্তমান মূল্য) সে তুলনায় যৌণ সেবার মূল্য ছিলো ১২৫০ ডলার। সে সময়েরই নামকরা এক পতিতা্উদ্যান-এর নাম বাটারফ্লাই। এই উদ্যানের যৌণকর্মীরা সপ্তাহে আয় করতেন ৪০০ ডলার, বছর শেষে যা প্রায় ৪,৩০,০০০ ডলার (বর্তমান মূল্য)। এক সময় শিকাগো’তে পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক জিহাদ ঘোষনা করা হয়। তখন বন্ধ করে দেয়া হয় বাটারফ্লাই নামের এই পতিতা্উদ্যান। যে দু’বোন এই পতিতা্উদ্যান চালাতেন তাদের সম্পদের হিসাব করে দেখা যায় এর মূল্য প্রায় ২২মিলিয়ন আমেরিকান ডলার (বর্তমান মূল্য)।

এই প্রশ্ন উঠতেই পারে, এখন কেন আর সেই রমরমা অবস্থা নেই এই ব্যবসার?
এক সময়ে সামাজিকএবং ধর্মীয় বিধিবিধানের জটিলতার কারনে বিবাহ বহির্ভূত যৌণ-স্বাদ কিংবা আন ইউজুয়াল যৌণতার জন্য পতিতাদের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া বিকল্প ছিলো না বললেই চলে । কারন যে পুরুষ যৌণসেবা গ্রহন করতে চান তার পতিতাদের কাছে যাওয়াটা নানা কারনে লাভজনক ছিলো। যেমন, পতিতাকে বিয়ের কমিটমেন্ট দিতে হবে না, গিফট কিনে দিতে হবে না, পতিতা’র গর্ভবতী হবার ঝুঁকিও তার নিতে হবে না। গবেষনায় দেখা গেছে, “১৯৩৩ থেকে ১৯৪২ সালের ভেতর জন্ম নেয়া আমেরিকান পুরুষদের মধ্যে ২০% এর প্রথম যৌণতার অভিজ্ঞতা পতিতাদের কাছ হতে। কিন্তু এখনকার চাল-চিত্র কি তাই? বর্তমানে মাত্র ৫ % পুরুষ তাদের কুমারত্ব তুলে দেন পতিতাদের কাছে। আগের জেনারশনের তুলনায় বর্তমানে ৭৭% পুরুষ বিয়ের আগে যৌণ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। যেখানে পূর্ববর্তী জেনারশনের হার ৩৩% (Levitt & Dubner 2009)”. বিয়ের আগে যৌণ অভিজ্ঞতা কিংবা অস্বাভাবিক যৌণাকাংখা , এসবের জন্য সরাসরি অর্থ ব্যয়ের পরিমান এ যুগে কেন কমে গেছে? কেন পতিতাবৃত্তি’র ব্যবসার আর সেই রমরমা নেই ? তার মানে কি যৌণতার চাহিদা কমে গেছে? না কমে যায়নি বরং বহু অংশে বেড়েছে। তাহলে পতিতাদের চাহিদা কমলো কেনো? কারন এ পেশায় মারাত্বক রকম প্রতিযোগিতার ঝুঁকি । তাহলে পতিতাদের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করেন কারা? উত্তরটা সোজা- পুরুষের সাথে বিনা পয়সায় যৌণ-ক্রিয়া করতে রাজী বা যৌণ-ক্রিয়া করেন এমন নারীরাই পতিতাদের ব্যবসার চরম শত্রু। এখানেও কলকাঠি নাড়ছে, ইকোনোমিক্সের বেসিক ল, সাপ্লাই ভার্সাস ডিমান্ড।
রাস্তার ভাসমান পতিতাদের কাছে সেবা নিতে গেলে যেখানে পুলিশের হাতে ধরা পরার হার মাত্র ১২০০ বারে ১ বার,সে তুলনায় বিয়ের আগে পার্টনারের যৌথ সম্মতিতে যৌণতা বা রুম ডেটিং পুরোপুরি নিরাপদই বলা যায়।
বাটারফ্লাই জমানায় ফ্রেঞ্চ স্টাইল বা ওরাল সেক্স খু্বই দামী ছিলো। পেনিট্রেশনের চাইতে প্রায় দ্বিগুন-তিন গুন পয়সা গুনতে হতো এই যৌণ আচরনের জন্য। কারন, ধর্মীয়ভাবে এই যৌণ আচরনকে নিষিদ্ধের আবরনে ঢেকে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু এখন এই যৌণআচরন উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়। কারন, যৌণতা সমন্ধে অল্প জ্ঞান থাকলেও এই আচরনটি সম্পন্ন করা যায়। আরো বড় কারন হচ্ছে এ যৌণ আচরন বয়ঃসন্ধিকালের গর্ভঝুঁকি ও গর্ভপাত কমাতে বেশ জোরালো ভূমিকা পালন করছে। ইকোনোমিস্টদের এরকমই দাবী। এখন যৌণতার ব্যবসায় ওরাল সেক্স খুবই সস্তা। গবেষনায় অারো জানা গেছে, এটি সুলভ ও সস্তা। কারন, এই সেবা যে কোন জায়গায় প্রদান করা যায় এবং তুলনামুলক ঝামেলাহীন।
এবার আসি পর্নোগ্রাফির ব্যবসায়। এটা অনেক বড় একটি ইন্ড্রাস্টি। নিউ ইর্যক টাইমস এর হিসাব অনুযায়ী পর্নোগ্রাফির বাৎসরিক বিক্রি ১০-১৪ বিলিয়ন ইউএসডি। এর ব্যবসা হলিউডের চা্ইতেও বড় দাবী, লেখক ফ্রাংক রিচের। নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর Kassia Wosick-এর দাবী এই মার্কেট প্রায় ৯৭বিলিয়ন আমিরিকান ডলারের।
বাংলাদেশের প্রায় কত কোটি মানুষের কাছে স্মার্ট ফোন বা ভিডিও দেখা যায় এমন ফোন আছে ,এর সঠিক পরিস্ংখ্যান আমার জানা নেই। কারো জানা থাকলে সঠিক রেফোরেন্স সহ জানাবেন। যুক্তরাজ্যে ১৫২১ (১৮ বছর এবং এর উর্ধ্বে) জনের উপর চালানো গবেষনায় দেখা যাচ্ছে, শতকরা ২৪% স্বীকার করেন তাদের মোবাইলে পর্নোগ্রাফি আছে। এদের মধ্যে আবার ৮৪% জানান তাদের পার্টনাররা বিষয়টা একেবারেই জানেন না। প্রায় ১ বিলিয়ন মোবাইল সেট পর্নোগ্রাফিক কন্টেট ব্যবহারে ব্যবহৃত হয় বলে গবেষনায় জানা গেছে। ৬৮ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদের দায় অনলাইন সংগীর। কংগ্রেসের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে ১১ মিলিয়ন অপ্রাপ্তবয়স্ক পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট ভিজিট করে।
YouGov এর ২০০৮ সালের জরিপ অনুযায়ী ৭১% সেক্সুয়ালি একটিভ অপ্রাপ্তবয়স্করা পর্নোগ্রাফি উপভোগ করে বা করেছে।
According to a 2007 study among 813 students from six U.S. schools: 66.5% of young men and 48.7% of young women said viewing pornographic materials is an acceptable way to express one’s sexuality.

তো গীর্জার পাদ্রীরা কতোটা এড়িয়ে চলতে পেরেছেন ইনটারনেট যুগের এই মনোকামনার দানবকে? ২০০০ সালে, ক্রিশ্চিয়ানিটি টুডে’র জরিপে দেখা যায় ৩৩% পাস্টর পর্নোগ্রাফিক ওয়েবপেইজ ভিজিট করেছেন।
Of those who have visited sexually explicit websites, 53% say they have visited the
sites a few times in the past year; 18% of clergy said they visited explicit websites
between “a couple of times a month” and “more than once a week.”

In 2000, a survey of 564 pastors showed:
“51% of pastors said Internet pornography is a possible temptation.
43% of pastors said they had ever visited a pornographic site, 21% doing so “a few
times a year” and 6% “a couple times a month or more.”
37% of pastors said viewing pornography was a “current struggle.”
75% of pastors said they do not make themselves accountable to anyone for their
Internet use. (Leadership Journal)
“In 2002, of 1,351 pastors surveyed, 54% said they had viewed Internet pornography within the
last year, and 30% of these had visited within the last 30 days (Brenton Evans)”. আমাদের দেশের মৌলোভী, মাওলানা,পাদ্রী, পূজারী,ভান্তে’দের নিয়ে এরকম জরিপ আছে কিনা আমার জানা নাই।
আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত সমাজ যৌণতাকে প্যান্টের গোপন পকেটে পুষে রাখতে চান। এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভয় ও লজ্জা পান। কেউ যৌণতা বিষয়ে কিছু বললে তেড়ে আসেন। যৌণতাকে ওনারা একটা রোমান্টিসিজম-এর জায়গা থেকে দেখতে চান। Naked Capitalists-দের এই যুগে যৌণতা যে মোটেই রোমান্টিক কিছু নয় তা তারা কখনোই মানতে রাজী নন।
আপনার যৌণতা,যৌণতার প্রতীক,যৌণআচরন,যৌণ চিন্তা বাইরে নিরাপদ নয় বলেই চার দেয়ালের মাঝে তাকে আটকাতে হয়। বেছে নিতে হয় রুম ডেটিং। আপনি আবারো প্রশ্ন করতে পারেন পুরোনো দিনের কথা তুলে। বোধকরি ইকোনোমিস্টদের রেফারেন্স এবং তথ্য উপাত্ত এর জবাব। আপনি বলতে পারেন, বিদেশের পরিসংখ্যান বাংলাদেশে কতোটা আপ্লিকেবল। গ্লোবালাইজশন এবং থ্রি-জির যুগে এই যুক্তিও খুব একটা টিকবে না। তবে এটাও সত্য, যৌণতা বিষয়ে ১০০% সঠিক পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা খু্বই কঠিন।
বাংলাদেশে ভালগারিজম ঘরানার যৌণতা নতুন কিছু নয়।চলচ্চিত্রে,টিভি মিডিয়ায় এর নানা সময়ে নানা রকমের আগমন,বর্হিগমন,পলায়ন এবং পুনরায় আগমন ঘটেছে। যতোই অস্বীকার করি, স্টার প্লাস, সনি টিভি’কে আমাদের জাতীয় টিভি চ্যানেল হিসাবে এখন মেনে নিতেই হবে। বোকা বাক্সে’র পারিবারিক ভূমিকা বদলে দেয়ার রুপকার একতা কাপুর যখন, তার ‘বাড়ে আচ্ছে লাগতি হ্যায়’ ডে্ইলি সোপে স্বামী-স্ত্রী’র যৌণ মিলনের দৃশ্য তুলে ধরেন তখনকার সময়ে বাংলাদেশে এ নিয়ে কোন শোরগোল আমার মনে পড়ে না। কিংবা রেডিও ফুর্তিতে ‘ দুধ চা’ বানানোর বিবরন নিয়েও আমি কোন প্রতিক্রিয়া জানি না।
ভালগারিজম এবং যৌণতা’র মধ্যে পার্থক্য বা মিল কি? যৌণতা’র যেকোন প্রদর্শন বা অনলঅইন-অফলাইন ভিজু্য়ালইজেশন-ই কি ভালগারিজম-এর মধ্যে পড়ে ? আলোচনার খাতিরে, যৌণতাকে যদি একটা লেজিটিমেইট বা সফট প্লেজারের দিক থেকে দেখা হয়, তাহলে অনেকেই হয়তো খুশি হবেন্। যৌণ ক্রিয়া এবং এর সুখ অনুভবের মাত্রা ক্ষনিকের বলেই তা এতো আনন্দদায়ক, এটা আমার আপনার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। কিন্তু নেকেড ক্যাপিটালিজম-এর যুগে, ব্যবসায়িক কারনে তাকে দীর্ঘায়িত করা হয়। করতে হয়। এখন আর স্বাভাবিক যৌণতার কোন বাজার মূল্য নেই। আগেই বলেছি, অর্থের বিনিময়ে যারা যৌণ ক্রিয়ায় লিপ্ত হোন না তারাই অর্থের বিনিময়ে যারা যৌণ ক্রিয়ায় লিপ্ত হোন তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী। এটাই এখন বাজার ব্যবস্থার যৌণনীতি। বাড়ীর সহজসরল গৃহবধুকে টিকে থাকতে হলে এখন এ বাজার সমন্ধে জানতে হবে। বাজারের হটকেক বা হট ডিমান্ড কি তাও জানতে হবে।
আর ভালগারিজম এর কথা বলবেন? বর্তমান সমাজে যৌণতার সাথে এর চূড়ান্ত সমপর্ক ইতমধ্যে স্থাপিত হয়ে গেছে। উদাহরন হিসাবে বলিউডের অাইটেম সং গুলো’র কথা বলা যেতে পারে। কাহিনী বিচারে এসব অাইটেম সং এর কতোটা প্রয়োজন তা বিচার করতে আপনাকে সিনেমা ক্রিটিক হতে হবে বলে আমার মনে হয় না। র্নিলোভ বিনোদেনের বাইরে এখানে আরেকটা সত্য লুকানো আছে। সত্যটা হলো বাজার চাহিদা। বলিউডের প্রোডাকশন হাউজগুলো মার্কেট রিসার্চের কাজে প্রতিবছর কোটি কোটি রুপি খরচ করে। আর এসব রিসার্চের ফল সরূপ বদলে যায় সিনমোর ট্রেন্ড। সালমান খানের দাবাং সিরিজ এর উদাহরন্। আরো একটু খেয়াল করলে দেখবেন শাহরুখ খান, সালমান খান এবং আমির খান এই তিন খানই সম্প্রতি তাদের সিনেমাতে চোরের ভূমিকাতে অভিনয় করেছেন্। এটা কাঁকতালীয় কোন ঘটনা নয়।যা হোক বলছিলাম ভালগারিজম ও যৌণতার সম্পর্কের কথা। যৌণতা থেকে ভালগারিজমকে এখন আর আলাদা করা সম্ভব না। আলাদা করলে আপনি নি্জেই তা গ্রহন করবেন কি না সন্দেহ। কারন যৌণতার ইন অ্যান্ড আউট বলে আর কিছু থাকবে না। ভালগারিজম-ই যৌণতার মূলে এখন। ভালগারিজম এর মোড়কেই আমরা এখন যৌণতাকে বিনোদন হিসাবে গ্রহন করছি। মিডিয়াতে যৌণতার বিবর্তন খেয়াল করলেই এ বিষয়টা ধরা পড়বে। (এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে ।) আর সেই গ্রহন করা যৌণতাই আমরা আমাদের ব্যক্তিজীবনে প্রয়োগ করছি। গোপনে বা স্বেচ্ছায় রেকর্ড করা পর্নোগ্রাফিক ভিডিও অ্যানালাইসিস-এর তথ্য তাই বলে। বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ে একটি গবেষনা প্রকল্পে’ আমি নিয়মিত কাজ করছি।চুক্তিগত বাঁধার কারনে অনেক তথ্য প্রকাশ করতে পারবো না ।অনলাইন ভিত্তিক দেশীয় যৌণতা এ দেশে একদমই নতুন কিছু নয়।এর শুরু ২০০০-২০০১ সালের দিকে। বানিজ্যিক পর্নোগ্রাফি’র ব্যবসা বাংলাদেশে কিন্তু এখন্ও জোরালোভাবে শুরু হয়নি (ভারতে এ ব্যবসা বেশ রমরমা এখন)। যেটা বেশি হচ্ছে তা হলো “রিভেঞ্জ পর্ন”। তা বেশ কিছু গোপনে এবং পরস্পরের সম্মতিতে রেকর্ড করা, দুই বা তার চেয়ে বেশী (গ্রুপ) ভিত্তিক ভিডিও অ্যনালাইসিস করে বিভিন্ন রকমের আচরন পেয়েছি। যা কিনা ভালগারিজম-এর অ্যাকাডেমিক সংজ্ঞায় পড়ে।

একটা সময় ছিলো যখন হলিউড অভিনেতারা অভিনয়ের প্রয়োজনে শার্ট খুলতে পারতেন না। সবাই ছি ছি করতো। একটা সময় নরওয়ের মতো দেশেও রঙীন টিভি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।যা এখন সময় গড়িয়ে উদ্ভট পাগলামির সমতূল্য। যখন স্কুলে পড়তাম তখন পরিচয় হয়েছিলো বাংলা চটি’র সাথে। যা এখনকার ছেলে-মেয়েদের কাছে অনেকটা ফ্লপি ডিস্কের মতো শোনানোর কথা। আমরা অনেক কিছুই মেনে নিয়েছি। বাজার ব্যবস্থা আমাদের বাধ্য করেছে। আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে। সব গেলো’র এই সময়ে, মূল্যবোধ, স্বতন্ত্র সংস্কৃতি এ শব্দগুলো কতোদিন টিকে তাও মনোযোগ দিয়ে দেখার বিষয়।

Reference :

১. Steven D. Levitt, Stephen J. Dubner ;October 20, 2009, William Morrow.
২.Leadership Journal, “Leadership Survey.”
৩ . Brenton Evans, “Till porn do us part,” FireProofMyMarriage.com.http://www.fireproofmymarriage.com/dload.php?file=_
images/_needhelp/InternetSafety.pdf (accessed Dec. 27, 2012).
৪.http://www.forbes.com/2001/05/25/0524porn.html
৫.http://www.nbcnews.com/business/business-news/porn-industry-feeling-upbeat-about-2014-n9076

error: দুঃখিত!