মুন্সিগঞ্জ, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বিশেষ প্রতিনিধি, (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের স্বঘোষিত ‘কিং’ ইউসুফ হাসান র্যাবের হাতে আটক হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর।
আটকের পর তাকে র্যাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে রাখতে সেখানে ব্যাপক তান্ডব চালায় তার অনুগত কর্মী-সমর্থকরা।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদঃ ১. মোল্লাকান্দির ইউসুফ র্যাবের হাতে আটক ২. কে এই ইউসুফ? কি কারনে তাকে আটক করলো র্যাব? ৩. মোল্লাকান্দির ‘কিং’ র্যাবের জালে, ব্যাপক তান্ডব ৪. ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ইউসুফ
ইউসুফ হাসান কে আটক করতে র্যাব তাদের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি টি কাজে লাগায়।
র্যাবের কতিপয় সদস্য মাদেকসেবী সেজে ইউসুফ হাসানের কাছে মাদক কিনতে চায়। ইউসুফ হাসান র্যাবের পাতা ফাদে পা দিয়ে তাকে তার বাসায় আসতে বলে।
র্যাব-১১ এর ‘আ’ অদ্যক্ষরের সেই সদস্য তার সিনিয়র কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে আরও ৫-৬ জন সঙ্গে নিয়ে মুহুর্তেই ইউসুফের বাসায় হাজির হয়। ইউসুফের বাসার দ্বিতীয়তলা থেকে ইউসুফ হাসানকে হাতেনাতে আটক করে র্যাব। এসময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলো। তারা মুহুর্তেই পালিয়ে যায়। ইউসুফকে আটকের সময় সেখান থেকে মাদকের সাথে নগদ টাকা জব্দ করে র্যাব।
ইউসুফ হাসান মূলত কাতার ফেরৎ একজন ব্যবসায়ী। একসময়ে কাতারে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করতেন তিনি। দেশে ফিরে কিছুদিন থেমে থেমে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন ইউসুফ। এছাড়াও মোল্লাকান্দিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনায় ইউসুফ হাসানের লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ আছে বলে শোনা যায়।
ইউসুফ মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি নিজেই এই কথা প্রচার করেছেন। এছাড়া নিজের প্রভাব বিস্তারের সংবাদ প্রকাশ করতেও ইউসুফের বিপুল বিনিয়োগ আছে।