নিখোঁজের পাঁচ দিন পর রাজধানীর অদূরে তুরাগ এলাকার কাশবনে মিলল লন্ডনপ্রবাসী জালাল উদ্দিন সরকারের (৫৫) অর্ধগলিত লাশ। সোমবার রাতে তুরাগ থানা পুলিশ ষোলহাটি ব্রিজের পাশের কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে জালাল নিখোঁজ ছিলেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। পরিবারের ধারণা, তার প্রাইভেটকার চালক বাবুল এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পর থেকে বাবুল পলাতক। হদিস নেই প্রাইভেটকারেরও। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা জানান, জালালের মাথায় আঘাত ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চালক বাবুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জালাল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ মশুরা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে জালাল ছিলেন পঞ্চম। তার প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে রয়েছে।
নিহতের বড় ভাই শাজাহান সরকার জানান, লন্ডনপ্রবাসী জালাল তিন মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় জালাল আবার লন্ডন ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
শাজাহান সরকার আরও বলেন, জালালের প্রাইভেটকার চালক বাবুল ৯ সেপ্টেম্বর গাড়ি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা যায়। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকালে জালাল তার ব্যক্তিগত কাজে পাবলিক বাসে মতিঝিলে যান। সন্ধ্যায় জালাল তার ছোট স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানান, ড্রাইভার কুমিল্লা থেকে ফিরে এসেছে। নিজের গাড়িতে করেই তিনি বাসায় রওনা হয়েছেন। রাত ১১টায় তিনি সর্বশেষ দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ। পরের দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে তারা দক্ষিণখান ও তুরাগ থানায় যান। থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা না করলেও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি মৌখিকভাবে তারা পুলিশকে জানান। সোমবার রাতে পুলিশের কাছে খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জালালের লাশ শনাক্ত করেন।