নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জ সদরের যুগনী ঘাটে নিজের বউকে আনতে গিয়ে বেদম পিটুনির শিকার হয়েছেন বুলবুল আহমেদ (২৭) নামে এক যুবক। পিটুনির শিকার যুবক এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ২৮ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের জুবলী ঘাটে নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে আনতে গেলে তাকে আটকে রেখে তার শ্বশুর ও স্থানীয় ১০-১১ জন বখাটে মিলে তাকে বেদম পিটুনি দেয়। এতে করে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সোনারগাও, নারায়নগঞ্জের ছেলে বুলবুল আহমেদ মুন্সীগঞ্জের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে বন্যা (১৮) কে বিবাহ করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী বন্যা বিভিন্ন ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলত। এক সময় স্বামী বুলবুল জানতে পারে তার স্ত্রীর সাথে অনেকের অনৈতিক সম্পর্ক আছে। এ বিষয়গুলি নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। দাম্পত্য কলহের জের ধরে বন্যা গত কয়েক মাস আগে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। কিছুদিন আগে স্বামী বুলবুল তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে পুনরায় তার বাড়িতে ফিরে আসার কথা বললে বন্যা তার স্বামীকে তাকে নিয়ে যেতে বলে। এরই প্রেক্ষিতে বুলবুল তার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ী যায়। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন আগে থেকে তাকে মারার সব পরিকল্পনা করে রাখে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে বুলবুল আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছে।