নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ আগস্ট থেকে জাতীয় মহাসড়ক গুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও থ্রি হুইলার ইঞ্জিন বিশিষ্ট যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মাওয়া চৌরারাস্তা অংশের তিনটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সিএনজি চালকরা।
তবে প্রথম দিন প্রতিবাদ মুখর থাকলেও মোবাইল কোর্টের অভিযান ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয় সিএনজি চালকরা।
এদিকে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বন্ধের কারণের পরিবহন সংকটে বিপাকে পরছে মাওয়া এলাকার সাধারণ যাত্রীরা।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কে রয়েছে পরিবহন সংকট বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না কোন পরিবহন। আর যা-ই কিছু পরিবহন পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণের বেশী ভাড়া।
এদিকে গজারিয়ার ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে সোনারগাঁ চৌরাস্তায় যেতে স্বাভাবিক ভাড়া ১০টাকা থাকলেও এখন তার দ্বিগুণ ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা জানান মহাসড়কের বাসে উঠলেই ১০টাকা ভাড়া দিতে হয়। এবং কি বাসের স্টাফরা যাত্রীদের সাথে অসাধু আচরন করে থাকেন।
মহাসড়ক সংলগ্ন আশপাশ এলাকাগুলোতে যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা উচিত ছিল সরকারের। এক্ষেত্রে সরকার গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত এলাকায় কিছু লোকাল বাস চলাচলেরও ব্যবস্থা করতে পারতো। তারা মনে করেন, মহাসড়কে কোনমতেই সিএনজি-অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেয়া উচিত নয়। কিন্তু এরপরও মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার জনসাধারণের কথা বিবেচনা করে সরকারের উচিত বিকল্প ব্যবস্থা করা।
এদিকে, মহাসড়কে অটো রিকশা বন্ধ থাকায় স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীরা পড়েছে বিড়ম্বনায়। আগে অটোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছলেও এখন হেটে যেতে হচ্ছে।
এদিকে মহাসড়কে সিএনজি বন্ধ হওয়ায় স্বল্প দূরত্বে যাওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মত ভাড়া হাঁকছেন রিক্সা ও বাস চালকরা। অভিযোগ উঠেছে সুযোগ বুঝে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ, তিন গুণের চেয়েও বেশী ভাড়া নিচ্ছেন তারা।